চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ ও বায়োজিদ থানাধীন ৩ নং ওয়ার্ডে বেড়েই চলছ গ্রাম সিএনজি ও ব্যাটারী রিক্সার দৌরাত্ব। আতুরার ডিপো বাজারের মুখ থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকা জুড়ে গ্রাম সিএনজি ও ব্যাটারী রিক্সা যত্রতত্র দাঁড়িয়ে স্বঘোষিত স্ট্যান্ড বানিয়ে প্রতিনিয়ত সৃষ্টি করছে যানজট ও দূর্ঘটনা।
গ্রাম সিএনজির স্বঘোষিত ষ্ট্যাড পরিচালনাকারী ড্রাইভার আবুর সাথে আলাপকালে জানা যায়, লাইনে চলাচলরত প্রতিটা গ্রাম সিএনজি মাসিক দুই হাজার টাকা দিয়ে এই স্ট্যান্ডে ঢোকে। এবং সে টাকা আদায় সহ যাবতীয় দেখভাল করে বলেও আমাদের জানায়। হাইকোর্ট কর্তৃক নিষিদ্ধ এসব অবৈধ ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সার কারণে যেমন প্রতিদিন বিভিন্ন দূর্ঘটনা ঘটছে ঠিক তেমনি সেসব অটোরিক্সায় অবৈধভাবে ব্যাটারি চার্জের কারণে অপচয় হচ্ছে বিদ্যুতের।
জানা যায়, নগরীর পাঁচলাইশ এলাকায় প্রতিদিন প্রায় ১০০০ অবৈধ ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা চলাচল করে।এই অটো রিক্সার প্রতিটির ব্যাটারি চার্জ দিতে প্রতিদিন ২০ ইউনিট বিদুৎ খরচ হয় , সেই হিসাবে পাঁচলাইশে প্রতিদিন বিশ হাজার ইউনিট বিদুৎ খরচ হয় , অবৈধ এসব অটোরিক্সার কারণে বিদ্যুৎ বিতরণে চাপসৃষ্টির পাশাপাশি বিদ্যুতের অপচয় হওয়ায় লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণায় অস্থির পাঁচলাইশ এলাকাবাসী।
পাঁচলাইশে এসব অবৈধ ব্যাটারী অটোরিক্সা পরিচালনা সিন্ডিকেটের নেপথ্যে যে প্রভাবশালী সিন্ডিকেট তার প্রধান সমন্বয়ক হলেন জনৈক যুবলীগ নেতা। সকল গ্যারেজ থেকে দৈনিক প্রতি গাড়ী ১২০ টাকা করে উত্তোলন করেন মোঃ এনাম ও মারুফ , মোনাফ সহ শহীদ নগরের আরো বেশ কয়েকজন।
দৈনিক টাকা উত্তোলনের পর তা উক্ত যুবলীগ নেতার কাছে জমা দেয় বলে জানা যায়। উল্লেখিত নেতা আবার পাঁচলাইশ ৩নং ওয়ার্ড বিট পুলিশিং কমিটির সাধারন সম্পাদক হওয়ার সুবাদে একশ্রেণীর দুর্নীতিগ্রস্থ পুলিশের সাথে ভাল সম্পর্কের জেরে এ সকল অপকর্ম করে থাকে। উত্তোলন করা টাকার একটি অংশ আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল নবী লেদু , কাউন্সিলর শফিকুল ইসলামের ছোট ভাই হাসানুল ইসলাম ,আব্দুল কাদের সর্দার, মহিন উদ্দিন , হাজী নাছির উদ্দিন ,ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন ভাগ করে নিয়ে থাকেন বলে সুত্রে প্রকাশ।
বিগত কিছুদিন আগে ব্যাটারি রিক্সা ও গ্রাম সিএনজির চাঁদা নিয়ে কথিত দুই নেতা জিএস কফিল ও জসিমের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়। এতে দুজন গুরুতর আহত হয়। সরেজমিনে দেখা যায় আতুরার ডিপো প্রকাশ হাশেম বাজারের মুখ প্রায় দেড় কিলোমিটার পর্যন্ত গ্রাম সিএনজি ও ব্যাটারী রিক্সা স্বঘোষিত ষ্ট্যান্ড বানিয়ে রাস্তা দখল করে অবর্নীয় যানজট সৃষ্টি করে রাখে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত। কথিত নেতাদের ভয়ে এসব বিষয়ে কেউ প্রতিবাদ ও করতে পারেনা। উল্লেখ্য অবৈধ ব্যাটারি রিকশার বেপরোয়া গতিবিধির কারণে প্রতিদিন কেউ না কেউ আহত হয় বলে স্থানীয় সুত্রে জানা যায়।
+ There are no comments
Add yours