অগ্নি দুর্ঘটনার পাশাপাশি ভূমিকম্প ঝুঁকিতে রয়েছে পুরান ঢাকার জনবহুল ৪৪টি এলাকা। এসব এলাকায় আছে রাসায়নিক দাহ্য ও বিস্ফোরক জাতীয় দ্রব্যের সাড়ে ৩ হাজার গুদাম, কারখানা কিংবা দোকান।
ফায়ার সার্ভিস ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন বলছে, অপরিকল্পিত নগরায়ন, মুনাফালোভী অসচেতন ব্যবসায়ীদের কারণে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিতে ঐতিহ্যবাহী পুরান ঢাকা।
রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা সদরঘাট। মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় হঠাৎ ভূমিকম্প শুরু হয়। পরে ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণে আগুন ধরে যায় নৌ টার্মিনাল ভবনে। ধসে যায় ভবনটির একাংশ।
আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে ভূমিকম্প ও অগ্নি দুর্ঘটনার ওপর ফায়ার সার্ভিসের সচেতনতা বিষয়ক মহড়ায় উঠে আসে এমন চিত্র।
পুরান ঢাকাকে রাজধানীর সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, এলাকাটির প্রায় শতভাগ ভবনই অনিরাপদ। এগুলোতে নেই প্রয়োজনীয় অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা কিংবা নির্মাণে মানা হয়নি বিল্ডিংকোড।
অনুষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান জানান, দুর্যোগ মোকাবিলায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ হবেই। বৈশ্বিক উষ্ণতা না কমা পর্যন্ত এটা কমানো যাবে না।
অগ্নিকাণ্ড, ভূমিকম্প, ভবন ধস এবং নদী ভাঙনের মতো সমস্যাগুলো থাকবেই। এগুলো আমরা বন্ধ করতে পারব না। কিন্তু এগুলো যাতে কম হয়, সেজন্য আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে পারব। এ দুর্ঘটনায় যাতে ঝুঁকি ও মৃত্যুর সংখ্যা যাতে কম হয়- সেই কাজগুলো আমরা করতে পারব।
+ There are no comments
Add yours