সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় মাধ্যমে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে একটি মহলের অতিরঞ্জন ও দুরভিসন্ধিমূলক অপপ্রচার মিথ্যা প্রমাণ করা গেছে বলে দাবি করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কারণ ২০১৮ সাল থেকে বাংলাদেশ যে কয়টি আন্তর্জাতিক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে তার মধ্যে এটি ছিল সবচেয়ে প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন। এর আগে বাংলাদেশ চারবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জিতেছে। এ সময় বাংলাদেশ অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছে। বিজয়টি তাৎপর্যপূর্ণ।
মানবাধিকার দু’একটি বিষয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় এবং এটার ক্যানভাস অনেক বড় বলেও মনে করেন প্রতিমন্ত্রী।
বাংলাদেশ এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৬০ ভোট পেয়ে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ থেকে নির্বাচিত অন্যান্য সদস্যরা হলো, মালদ্বীপ, ভিয়েতনাম এবং কিরগিজস্তান। ২০০৯ সাল থেকে ৪৭ সদস্যের এই কাউন্সিলে বাংলাদেশ ৫ম বারের মতো নির্বাচিত হলো।
এদিকে, ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলকে রুশ ফেডারেশনে যুক্ত করার বিষয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে একটি নিন্দা প্রস্তাব পাস হয়েছে। এতে বাংলাদেশসহ ১৪৩টি দেশ রাশিয়ার বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। এর ফলে রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে কি না—জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ প্রস্তাবনা জাতিসংঘে এনেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। দুটি রাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধ অবশ্যই কাম্য নয়। যুদ্ধের উদ্দেশ্য যদি হয় আরেকটি দেশের একটি অংশ দখল করে নেওয়া, তাহলে কিন্তু এটা জাতিসংঘ চার্টার্ডের বায়োলেশন পরিষ্কারভাবে।
+ There are no comments
Add yours