চট্টগ্রাম নগরীর মানুষকে গাছ সম্পর্কে নতুন করে জানাতে চট্টগ্রাম কলেজের মাঠে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আয়োজনে এবং তিলোত্তমা নামক একটি সংগঠনের সহযোগিতায় করা হয় বৃক্ষমেলার। ৮ অক্টোবর শুরু হয়ে ১৪ অক্টোবর আনুষ্ঠানিক সমাপনী অনুষ্ঠান করা হয়।
তবে সেই মেলা চলছে এখনও। মেলাকে ঘিরে চলছে কয়েক স্তরের চাঁদাবাজি। স্থানীয় কাউন্সিলর নূর মোস্তফা টিনু ও চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের নামে তোলা হচ্ছে দফায় দফায় চাঁদা।
জানা গেছে, মেলা শেষ হওয়ার পরও মেলাকে ঘিরে চলা কয়েক স্তরের চাঁদাবাজির জন্যই মূলত জিইয়ে রাখা হচ্ছে এই মেলাকে। প্রায় অর্ধশত কসমেটিক্স ও খাবারের দোকানকে কেন্দ্র করে বিপুল পরিমাণের চাঁদার ভাগের জন্যই এক সপ্তাহের মেলাকে টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অনির্দিষ্ট সময় ধরে।
মেলায় ১৮টি নার্সারি স্টল সাজালেও প্রতিটি দোকান থেকে ২০ হাজার টাকা করে মেলার খরচ বাবদ টাকা তোলে মেলার সহযোগিতায় দেওয়া প্রতিষ্ঠান ‘তিলোত্তমা’। ৭ দিনের জন্য এই মেলা আয়োজন করা হলেও মেলা চলবে অন্তত ১৫ দিন। আয়োজন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের এমন মৌখিক আশ্বাসে এই টাকা দিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেনি নার্সারিগুলো।
জানা গেছে, নার্সারি দোকানিদের ২০ হাজার টাকা ছাড়াও বড় অংকের একটি টাকা এসেছে মেলা ঘিরে বসা খাবার ও কসমেটিক্সের দোকানগুলো থেকে। প্রতিটি খাবার দোকান থেকে ১০ হাজার টাকা করে এককালীন ও প্রতিদিন ৩০০ টাকা করে চাঁদা নেওয়া হচ্ছে কয়েক দফায়। এছাড়াও খাবারের দোকানগুলোতে খাবার খেয়ে টাকা না দিয়ে চলে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে কাউন্সিলর টিনুর অনুসারী ও কলেজ ছাত্রলীগের কর্মীদের বিরুদ্ধে।
তবে চাঁদার বিষয়টি স্বীকার করলেও তারা কেউ ‘নিজের কর্মী নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ১৬ নম্বর ওর্য়াডের কাউন্সিলর নূর মোস্তফা টিনু। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যারা চাঁদাবাজি করছে তারা কেউ আমার অনুসারী না, তারা বহিরাগত। আর কেউ যদি আমার নাম বিক্রি করে চাঁদাবাজি করে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
+ There are no comments
Add yours