লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে যৌতুকের টাকা না পেয়ে মো. সোহাগ (২২) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে তার স্ত্রীকে ভারতের পতিতালয়ে বিক্রির অভিযোগে তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কমলনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমানকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বীকারোক্তি ও অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা যায়, প্রায় ৫ মাস আগে সোহাগের সঙ্গে কমলনগরের চরকালকিনি ইউনিয়নের মতিরহাট এলাকার তাজুল ইসলামের মেয়ে রিনা আক্তারের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। এতে ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দেওয়ার কথা থাকলেও ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। বাকি টাকার জন্য সোহাগ তার স্ত্রীকে বিভিন্ন সময় চাপ প্রয়োগ করে।
এর মধ্যেই বিয়ের দুই মাস অতিবাহিত হয়। পরে বেড়ানোর কথা বলে সোহাগ রিনাকে ঢাকা নিয়ে যায়। সেখানে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে ড্রামে করে চোরাই পথে রিনাকে ভারতের কলকাতার কাছাকাছি স্থানে সোহাগ তার বোনের কাছে নিয়ে যায়। পরে সোহাগ দেশে চলে এলেও রিনাকে রেখে আসে।
সোহাগ জানায়, রিনা তার বোনের কাছে ঢাকায় আছে। কিন্তু যোগাযোগের জন্য ঠিকানা বা মোবাইল নম্বর চাওয়া হলেও সোহাগ তা দিচ্ছিল না। ঘটনাটি সন্দেহজনক হওয়ায় গত ১০ অক্টোবর রিনার ভাই মো. জাহাঙ্গীর কমলনগরের হাজিরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে সোহের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দেয়। পরে পুলিশ সোহাগকে চাপ দেয় রিনাকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনার জন্য।
নিরুপায় হয়ে এক সপ্তাহ আগে রিনাকে অচেতন করে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। স্বাভাবিক হয়ে রিনা বুঝতে পারে তিনি স্বামীর বাড়িতে আছেন। স্বামীর বাড়ি থেকে গোপনে তিনি বাবার বাড়িতে চলে আসে। পরে পরিবারের লোকজনকে রিনা সবকিছু বলে। রিনাকে কলকাতার পতিতালয়ে অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছিল।
ভুক্তভোগী রিনা আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, আমাকে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে ভারতে সহিদা নামে একজনের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ৩ মাস আমাকে অনেক অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে। তাদের কথা না শুনলেই আমাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতো। আমি সোহাগ ও তার বোন সাহিদার বিচার চাই।
+ There are no comments
Add yours