জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) অনুবিভাগ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে সরকার নিয়ে নিলে নির্বাচন কমিশন ভোটার কার্ড দিবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এনআইডির জন্য নতুন আইন হচ্ছে। এটি পাস হলেই এনআইডি নির্বাচন কমিশন থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে চলে যাবে এবং জন্মের পরপরই নাগরিককে এনআইডি দেওয়া হবে।
ভোটার তালিকার বাই প্রোডাক্ট হিসেবে ইসি এ কাজটি ২০০৮ সাল থেকে করে আসছে। এজন্য সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনাররা, ইসি সচিব এমনকি সাধারণ মানুষও চাচ্ছে এটি ইসির কাছেই থাকুক।
এসব বিষয়ে নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মো. আলমগীর বলেন, এনআইডি চলে গেলে ক্ষতি হবে না। এনআইডি এক জিনিস, ভোটার এক জিনিস। আমরা কাজ করি ভোটার তালিকা নিয়ে। এনআইডির ভিত্তিতে নির্বাচন করি না। আমরা ভোটার তালিকার ভিত্তিতে নির্বাচন করি।
তিনি বলেন, এনআইডি চলে গেলেও ভোটারের সার্ভার দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এটা কাউকেই দেওয়ার সুযোগ নেই। এটা ইসির সম্পদ। তবে আমরা তথ্য শেয়ার করতে পারি। এনআইডি স্বরাষ্ট্র চলে গেলে তারা তথ্য ব্যবহার করতে চাইলে দেওয়া যাবে।
গোপন কক্ষে সিসি ক্যামেরা বসানো ভোটাধিকার লঙ্ঘন হওয়ার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, আমরা গোপন কক্ষে সিসি ক্যামেরা রাখিনি। কারণ এটা গোপন কক্ষ। সিইসি বা কমিশনার, কারো অধিকার নাই এটা জানার। যারা বলেছেন ঠিকই বলেছে। আমরা গোপন কক্ষে সিসি ক্যামেরা রাখিনি। ভোটকেন্দ্রে রেখেছি। সেখানে দেখা গেছে অবৈধ ব্যক্তি ভোট দিয়ে চলে আসছেন। কাকে ভোট দিয়েছে তাতো দেখিনি। এটা দেখার সুযোগ নেই। কেউ যদি এটা বলে থাকনে, সেটা ভুল তথ্য।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গাইবান্ধা-৫ আসনে অনিয়মে গঠিত তদন্ত কমিটি কাল হয়তো ফিরে আসবে। তারপর তারা রিপোর্ট দেবে। রিপোর্টের ভিত্তিতে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো।
+ There are no comments
Add yours