রংপুর নগরীর মাওলানা কেরামত আলী কলেজের জীববিদ্যা বিভাগের প্রর্দশক শিক্ষক মাসুদা বেগমের বিরুদ্ধে বিদেশে থেকেও অবৈধ প্রক্রিয়ায় নিয়মিত বেতন-ভাতার সুবিধা গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে।
কলেজ কর্তৃপক্ষের যোগসাজসে বিদেশে বসেই কলেজের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করছেন ওই শিক্ষক। চাকরিবিধি অনুযায়ী ওই শিক্ষকের চাকরিতে বহাল থাকার সুযোগ না থাকলেও সাবেক অধ্যক্ষের আপন ছোট বোন হওয়াতে এ বিষয়ে নিরব ভূমিকা পালন করছে কলেজের গভর্নিং বডি।
জানা গেছে, গত কয়েক বছর ধরে আমেরিকায় বসবাস করছেন শিক্ষক মাসুদা বেগম। তিনি দেশে ঠিকমতো আসেনও না। কলেজের শিক্ষার্থীদের কাছে তেমন পরিচিতও নন। তবে কলেজে না এলেও হাজিরার খাতায় তার নাম স্বাক্ষর ঠিকই রয়েছে।
রংপুর নগরীর কাঁচারী বাজার সোনালী ব্যাংক শাখা থেকে নিয়মিত বেতন-ভাতাও উত্তোলন করছেন তিনি। কিন্তু বিদেশে থেকে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর, ক্লাসে পাঠদান ও বেতন ভাতা উত্তোলন কি করে, এ প্রশ্নের জবাব দিতে নারাজ কলেজ প্রশাসন।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও সচেতন মহলসহ কলেজে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের অনেকের মধ্যে মৌন ক্ষোভ থাকলেও এ নিয়ে মাথা ব্যাথা নেই অধ্যক্ষের।
অভিযোগ উঠেছে, কলেজ কমিটির বর্তমান সভাপতি মনোয়ার হোসেন পূর্বে সেখানকার অধ্যক্ষ ছিলেন। আর তারই আপন ছোট বোন হন শিক্ষক মাসুদা বেগম। বড় ভাইয়ের খুঁটির জোরে বিদেশে থেকেও অবৈধভাবে সব সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছেন ওই শিক্ষক।
কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি মনোয়ার হোসেন বলেন, চলতি বছরে অসুস্থতাজনিত ছুটিতে মাসুদা বেগম যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। গত তিন মাস ধরে মাসুদাকে অর্ধেক বেতন দেওয়া হচ্ছে। কোনো অনিয়ম হয়নি।
+ There are no comments
Add yours