পশুর নদীর ড্রেজিংয়ের বালুর কবল থেকে বাণীশান্তার তিনশো একর তিনফসলি কৃষিজমি রক্ষার দাবিতে ধানক্ষেতে কৃষক-কৃষাণীরা মানববন্ধন করেছেন।
রবিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে দাকোপ’র বাণীশান্তা ইউনিয়নের আমতলা আমন ধানের বিলে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এবং কৃষিজমি রক্ষা সংগ্রাম কমিটির আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত কৃষিজমি রক্ষা সংগ্রাম কমিটির নেতা হিরন্ময় রায়’র সভাপতিত্বে মানববন্ধন চলাকালে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কেন্দ্রিয় নেতা সাংবাদিক মো. নূর আলম শেখ।
সমাবেশে বাণীশান্তা কৃষিজমি রক্ষা আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন ‘নিজেরা করি’ খুলনার বিভাগীয় সমন্বয়কারী স্বপন দাস। অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন কৃষক নেতা গৌরাঙ্গ প্রসাদ রায়, কিশোর রায়, বিশ্বজিৎ মন্ডল, কৃষিজমি রক্ষা সংগ্রাম কমিটির সদস্য সচিব নেতা সত্যজিৎ গাইন, কৃষ্ণ পদ মন্ডল, বৈশাখী মন্ডল, বাপা নেতা হাছিব সরদার, পাইকগাছা ভূমিহীন আন্দোলনের নেতা শেখ তৈয়বুর রহমান, সবিতা ঢালী প্রমূখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন প্রশাসন এবং বন্দর কর্তৃপক্ষ কৃষকের সাথে প্রতারণা এবং ছলনার মাধ্যমে কৃষিজমিতে বালু ফেলার পায়তারা চালাচ্ছে। দুর্ভিক্ষ’র কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বার বার উৎপাদন বাড়ানো, কৃষিজমির ক্ষতি করে কোন ধরনের উন্নয়ন করা যাবেনা এবং এক ইঞ্চি জমিও ফাঁকা রাখা যাবেনা মর্মে বারবার সতর্কবার্তা উচ্চারণ করলেও প্রশাসন ও মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রধানমন্ত্রীর এই অনুশাসন মানছেনা। বক্তারা জান দেবে তব্ওু বাণীশান্তা, আমতলা, ভোজনখালি, ঢাংমারি ও খাজুরা গ্রামের তিনফসলি জমিতে কোন ভাবেই বালু ফেলতে দেবোনা বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পশুর নদীর ড্রেজিংয়ের বালু বাণীশান্তা ইউনিয়নের কৃষিজমিতে ফেলাকে কেন্দ্র করে আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি হলে তার জন্য প্রশাসন ও বন্দর কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে বলে ঘোষনা দেন। মানবন্ধনে বাণীশান্তা ইউনিয়নের কয়েকশো কৃষক-কৃষাণী অংশগ্রহণ করেন।
এছাড়া নিজেরা করি’র নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক ভূমিহীন, কৃষক ও ক্ষেতমজুর আন্দোলনের নেতাকর্মী কৃষিজমি রক্ষা আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন। মানববন্ধন শেষে বাণীশান্তা বাজারে নিজেরা করি’র পরিবেশনায় গনসঙ্গীত ও পথনাটক মঞ্চস্থ হয়।
+ There are no comments
Add yours