ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে রাজধানীসহ সারাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সোমবার (২৪ অক্টোবর) ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছে।
বিভিন্ন এলাকার অলি-গলিতে হাঁটু পানি জমেছে। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকালেও অলি-গলিতে পানি জমে থাকতে দেখা গেছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষজন।
সকালে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, শিক্ষার্থী—অফিসগামী এবং কর্মজীবী মানুষরা গন্তব্যে যেতে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন। গলিতে পানি জমে থাকায় মূল সড়কে আসতে তাদের রিকশায় ভর করতে হচ্ছে। আর এ সুযোগে রিকশাচালকরা বেশি ভাড়া হাঁকচ্ছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
অন্যদিকে সিত্রাংয়ের প্রভাবে দুইদিন ধরে বৃষ্টির কারণে বরিশাল নগরীর সব সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ঝড়ো হাওয়ায় ঢাকার বিভিন্ন স্থানে গাছ ভেঙে সড়কের ওপর পড়েছে।
সোমবার রাত ১০টা পর্যন্ত পড়ে থাকা অন্তত ৫০টি গাছ সরিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। গুলশান, বনানী, হাতিরঝিল, পান্থপথ, ধানমন্ডি, গ্রিন রোড, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, ইসিবি চত্বরসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় সড়কে গাছ পড়ে থাকতে দেখেছেন। সাময়িকভাবে সেসব সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল।
গাছ ভেঙে পড়ায় অনেক সড়কে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। এ ছাড়া সঞ্চালন লাইনে গাছ পড়ে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা হয়ে পড়েছে বিদ্যুৎহীন। আর টানা বৃষ্টিতে অনেক এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা।
উপকূলের ১৫টি জেলার নদ-নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুট উচ্চতা নিয়ে আছড়ে পড়ে।
এই ঝড়ে এ পর্যন্ত নয়জন প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে কুমিল্লায় তিনজন, ভোলায় দুজন, সিরাজগঞ্জে দুজন, নড়াইল ও বরগুনায় একজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। পরিস্থিতির কারণে আজ মঙ্গলবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন স্থানে নদ-নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৪ ফুট উচ্চতায় আছড়ে পড়ে। আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ কত, তা এখনো জানা যায়নি।
+ There are no comments
Add yours