স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের এক আদেশে কাউন্সিলর পদ থেকে বহিষ্কার হওয়া জামালপুর পৌরসভার সংরক্ষিত ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর স্বপ্না আক্তার লিপি হাইকোর্টের আদেশে তার কাউন্সিলর পদ ফিরে পেয়েছেন। রিট পিটিশনের শুনানিতে সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ তার ওই বহিষ্কারাদেশের ওপর ছয় মাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।
জানা গেছে, জামালপুর শহরের মেডিকেল রোডে হযরত আলী মার্কেটে সংরক্ষিত কাউন্সিলর স্বপ্না আক্তার লিপির স্বামী জিলহজ আলী নাদু শেখের সাথে অন্যের জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে।
সেই বিরোধের জের ধরে অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৯ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন-২০০৯ এর ৩১(১) ধারায় স্বপ্না আক্তার লিপিকে তার কাউন্সিলর পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
এই বহিষ্কারাদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে কাউন্সিলর স্বপ্না আক্তার লিপি ১৩ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন দাখিল করেন। একই দিনে তার সেই রিট পিটিশনে সন্তোষ্ট হয়ে হাইকের্টের বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও মো. বাশির উল্লাহ কাউন্সিলর স্বপ্না আক্তার লিপিকে সাময়িক বহিষ্কারাদেশ আগামী ছয়মাসের জন্য স্থগিত করেছেন।
একই সাথে আদালত স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন-২০০৯ এর ধারা ৩১(১) মোতাবেক কাউন্সিলর স্বপ্না আক্তার লিপিকে সাময়িক বহিষ্কারের আদেশ আইনসম্মত না হওয়ায় সাময়িক বহিষ্কারের আদেশদাতা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিবকে কারণ দর্শানোর রুলনিশি জারি করেছেন।
এ প্রসঙ্গে কাউন্সিলর স্বপ্না আক্তার লিপি জানান, হাইকোর্টে রিট পিটিশনের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ স্থানীয় সরকার বিভাগের দেওয়া সাময়িক বহিষ্কারের বিষয়টি আইনসম্মত হয়নি বলে মতামত দিয়ে সেই বহিষ্কারাদেশ স্থগিত ঘোষণা করেছেন। ওই আদেশের সকল কাগজপত্র সোমবার পৌরসভায় জমা দিয়েছি। আমার স্বামীর সাথে অন্যদের জমির বিরোধের ঘটনায় যারা আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা অভিযোগ করে,আমাকে হয়রানি করছে, আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিবো।
তিনি আরও জানান, আমার পক্ষে নিয়োজিত জামালপুর জজকোর্টের আইনজীবী মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ গত ২৪ অক্টোবর আমাকে কাউন্সিলর পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কারাদেশের স্থগিতাদেশের বিষয়টি জামালপুর পৌরসভার মেয়র মোঃ ছানোয়ার হোসেনন ছানুকে লিখিতভাবে অবহিত করেছেন।
+ There are no comments
Add yours