সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে মোংলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে গত রাতে পশুর নদীর লাউডোব এলাকায় সিমেন্টের কাঁচামাল (জিপসাম) এমভি পৌষ-ফাল্গুনের পালা কার্গো জাহাজ ময়ও বঙ্গবন্ধু মোংলা-ঘাষিয়াখালী আন্তর্জাতিক চ্যানেলে ডুবে গেছে বিআইডব্লিটিসির স্টিমার ঘাটের পল্টুন। ডুবন্ত দুইটি নৌযান মার্কিং করে সতর্ক লাল নিশানা টানিয়ে দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এদিকে ঝড়ে দুদিনেরও বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে মোংলা বন্দর, পৌর শহরসহ গ্রামাঞ্চলে। এতে চরম ভোগান্তিতে লাখো মানুষ।
মোংলার কুমারখালি এলাকায় বিআইডব্লিটিএর পল্টুন হিসেবে ব্যাবহার করা বড় বার্জটি ডুবে গেছে।
বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং শাখার সহকারী প্রকৌশলী মো. আনিসুজ্জামান রকি বলেন, যে পল্টুনটি ডুবেছে, তাতে ওই চ্যানেল দিয়ে অন্যান্য নৌযান চলাচলে আপাতত কোন সমস্যা হবে না। তারপরও দ্রুত পল্টুনটি উদ্ধারে মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকালে ঢাকা থেকে উদ্ধারকারী যানসহ লোকজন রওনা হয়েছে।
এদিকে ঝড়-বৃষ্টিতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার প্রায় দুই হাজার চিংড়ি ঘের মালিক কম বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। আর ২০০ ঘের পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, চিংড়ি ঘেরের বেশি ক্ষতি হয়েছে চিলা ও চাঁদপাই ইউনিয়নে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জাফর রানা বলেন, ঝড়ে মোংলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় সাড়ে ৩০০ কাঁচা ঘরবাড়ির পুরোপুরি ও আংশিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকায় গাছপালা উপড়ে পড়েছে। তবে, হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার বলেন, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলো যাতে সব ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা পান, সেজন্য তালিকা তৈরি করে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে পাঠানো হচ্ছে। এরপর বরাদ্দ পেলেই ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে তা বণ্টন করা হবে।
+ There are no comments
Add yours