চন্দনাইশে গাড়ির উচ্চ হর্ণে স্কুল ও হাসপাতালের ব্যাপক সমস্যা

Estimated read time 1 min read
Ad1

চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কে চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভায় মহাসড়ক ঘেঁষে অবস্থিত একটি স্কুল ও দোহাজারী হাসপাতাল,সাথে রয়েছে আরো বেসরকারি অনেক গুলো মেডিকেল। হাসপাতাল গুলোর সামনে দিয়ে স্বল্প ও দূরপাল্লার গাড়িগুলো উচ্চ শব্দে হাইড্রোলিক হর্ণ বাজিয়ে ছুটে চলে। হর্ণের উচ্চ শব্দের কারণে বহির্বিভাগে কোনোভাবেই মনোযোগ দিয়ে রোগী দেখতে পারেন না চিকিৎসকেরা। হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের দিনের বেলা তো বটেই রাতেও ঘুমানো কঠিন হয়ে যায়।

এসময় হাসপাতালের সিনিয়র ডা. আহমেদ তানজিমুল ইসলাম বলেন, গাড়ির উচ্চ আওয়াজে হাসপাতালের আশপাশের ১শ মিটার পর্যন্ত নিরব এলাকা হলেও উচ্চ শব্দে যখন বাইরে গাড়ীর হর্ণ বাজে তখন মনোযোগ রাখা যায় না।
তখন রোগীদের অবস্থা খারাপ হয়ে উঠে।

এদিকে ভর্তি থাকা কয়েকজন রোগী জানান, ২৪ ঘণ্টা গাড়ির হর্ণের শব্দে অসহ্য হয়ে পড়ছি। দিনের বেলায় বাস-লেগুনা সহ অন্যান্য গাড়ি আর রাতের বেলায় ট্রাকের হর্ণ।
বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের বিধিমালায় বলা হয়েছে, যেকোনো নিরব এলাকায় অতিরিক্ত হর্ণসহ শব্দদূষণের ফলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, রোগী, পেশাজীবিসহ অন্যান্যদের যেমন শ্রবণশক্তি হ্রাস পায়, তেমনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্ম এলাকায় পরিবেশ ব্যাহত হয়। শিশুদের মেধাবিকাশ ব্যাহত, মানসিক চাপ, অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীরা আরো অসুস্থ হয়ে যেতে পারে।

দোহাজারী ৩১শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের সামনে গাড়ির হর্ণ বাজানো প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম জোরদার এবং আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীকে আরও দায়িত্বশীল ও কঠোর হতে হবে এমনটাই মনে করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

আরকান সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন (চট্টগ্রাম- কক্সবাজার- বান্দরবান অঞ্চল) সভাপতি জহিরুল ইসলাম গণমাধ্যম কে বলেন, আমাদের অঞ্চলের ১৯টি রুটের প্রায় ১০ হাজার শ্রমিককে আমরা নিয়মিত সচেতন করি। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে দেশের বিভিন্ন জেলার বাস-ট্রাক চলাচল করে। আমরা তো আর সকলকে সচেতন করতে পারবো না। সড়ক ও জনপথ বিভাগের পক্ষ থেকে ‘সামনে নিরব এলাকা, হর্ণ বাজানো নিষেধ’ এমন সাইনবোর্ড লাগালে এবং তা প্রতিপালনে হাইওয়ে থানা পুলিশ প্রচেষ্টা চালালে নিরব এলাকায় হর্ণ বাজানো বন্ধ হবে।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে দোহাজারী হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ খান মোহাম্মদ এরফান বলেন, হাইড্রলিক হর্ণের ব্যবহার বন্ধে হাইওয়ে থানা পুলিশ প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। চালকদের অজ্ঞতা, অসচেতনতা ও প্রশক্ষিণের ঘাটতির কারনে হাইড্রোলিক হর্ণ ব্যবহার হচ্ছে।

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours