ভবিষ্যতে ঢাকা থেকে পায়রা বন্দর পর্যন্ত রেলপথ করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) পায়রা বন্দরের ক্যাপিটাল ড্রেজিং এবং আটটি জাহাজের উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ভৌগোলিক যে অবস্থান, সেই অবস্থানকে কেন্দ্র করে এদেশের আর্থ সামাজিক অবস্থান যে দ্রুত পরিবর্তন করা সম্ভব এটা জাতির পিতা সবসময় বলতেন।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘পয়রা বন্দর তৈরি করার বিষয়টি যখন বলি তখন অনেকে বাধা দিয়েছে, বলেছে এখানে বন্দর হওয়া সম্ভব নয়। কারণ, এখানে অনেক সিল্ট (সিল্ট হলো একটি কঠিন, ধূলিকণার মতো পলল যা পানি, বরফ এবং বায়ু পরিবহন ও জমা করে) আছে, বিশেষ করে আমাদের রামনাবাদ চ্যানেল, এখানে এত বেশি সিল্ট যে পলি অপসারণ করা বা পরিবহন যোগাযোগের এত বেশি সুযোগ করা যাবে না।’
সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক বাধা আপত্তি অতিক্রম করে ২০১৬ সালে বন্দরের অপারেশনাল কাজ শুরু করি। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে নিয়মিতভাবে কয়লাসহ অনেক বাণিজ্যিক জাহাজ আসতে শুরু করে এখানে। পায়রা নামটা আমারই দেওয়া। এখানে আমরা কয়লাভিত্তিক একটা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ শুরু করি। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লার পরিবহন দিয়ে বন্দরের কাজ শুরু হয়।’
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ২০৭টি বাণিজ্যিক জাহাজ এ বন্দরে এসেছে এবং এর মাধ্যমে ৬১৩ কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব আয় হয়েছে। চ্যানেলের যে গভীরতা ৬.৩ মিটার তা ধরে রাখার জন্য ড্রেজিং সম্পন্ন করা হয়েছে। যা এখনও স্থিতিশীল আছে।
পায়রা বন্দরের সক্ষমতাকে নতুন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা বর্তমানে এই চ্যানেলে ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের কাজ হাতে নিয়েছি। যা দেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ ড্রেজিং কাজ। এর ফলে বন্দর থেকে সাগরের মধ্যে ৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ, ১০০ থেকে ১২৫ মিটার প্রশস্ত এবং কমবেশি ১০.৫ মিটার গভীরতার চ্যানেল সৃষ্টি হবে।
+ There are no comments
Add yours