কৃষ্ণসাগর দিয়ে ইউক্রেনের শস্যবাহী জাহাজ নিরাপদে চলাচলের যে প্রতিশ্রুতি রাশিয়া দিয়েছিল, তা থেকে সরে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে চুক্তির অন্যতম অংশীদার তুরস্ক।
সোমবার তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হালুসি আকার এক বিবৃতিতে বলেন,
‘ইউক্রেনের খাদ্যশস্য রপ্তানি চুক্তি থেকে রাশিয়ার সরে আসার সিদ্ধান্ত উদ্বেগজনক। কারণ এটা এমন এক পদক্ষেপ, যার ফলে কেউই লাভবান হবে না।’
রাশিয়াকে এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়ে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুর সঙ্গে টেলিফোনে বৈঠক করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
কৃষ্ণ সাগরে রুশ নৌবাহিনী টহল দিতে থাকায় ইউক্রেনের বন্দর দিয়ে এসব খাদ্যশস্য ও তেলবীজ আন্তর্জাতিক বাজারে যাওয়ার কোনো পথ ছিল না।
একদিকে যেমন ইউরোপ মহাদেশসহ দেশে দেশে খাদ্য ও ভোজ্যতেলের দাম বাড়তে থাকে, অন্যদিকে বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ইউক্রেনের শস্য রাখারও জায়গা ছিল না। কারণ খাদ্যগুদামগুলো ভর্তি ছিল বিগত মৌসুমের শস্য ও তেলবীজে।
অবশেষে জাতিসংঘের প্রচেষ্টা এবং রাশিয়া ও ইউক্রেন— উভয়েরই মিত্র রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত তুরস্কের কয়েক মাসের দূতিয়ালিতে অবশেষে গত ২২ জুলাই জাতিসংঘ-তুরস্ক-রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সেই চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, কৃষ্ণসাগর দিয়ে ইউক্রেনের শস্যবাহী যেসব বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল করবে, সেগুলোতে হামলা চালানো হবে না।
গত শনিবার কৃষ্ণ সাগরে ক্রিমিয়া দ্বীপের সেভাস্তোপল বন্দরে রুশ বাহিনীর নৌবহরে ইউক্রেনীয় বাহিনী ড্রোন হামলা চালানোর পর রোববার ইউক্রেনের খাদ্যশস্য রপ্তানি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেয় মস্কো।
রাশিয়ার এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়াই ইতোমধ্যে উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউয়নিয়ন।
+ There are no comments
Add yours