খাদ্য সংকট ও আসন্ন দুর্ভিক্ষ মোকাবেলায় বাণীশান্তার তিনফসলি কৃষিজমি রক্ষা জরুরি। বিকল্প জায়গা থাকা সত্ত্বেও পশুর নদী ড্রেজিংয়ের বালি বাণীশান্তার তিনশো একর কৃষিজমিতে ফেলার ভুল সিদ্ধান্তে অনড় থাকা দুঃখজনক।
কৃষিজমিতে বালি ফেলার ভুল সিদ্ধান্ত থেকে মোংলা বন্দরকে সরে আসতে হবে। কৃষক-কৃষাণীর প্রাণের দাবী প্রধানমন্ত্রীর জরুরি হস্তক্ষেপে বাণীশান্তার কৃষিজমি রক্ষা পাবে।
মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) বিকেলে দাকোপের বাণীশান্তা বাজারে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), বেলা, নিজেরা করি, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন, ব্রাক, এএলআরডি, টিআইবি, ব্লাস্ট, হিন্দু বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ, বাণীশান্তা কৃষিজমি রক্ষা সংগ্রাম কমিটিসহ বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে কৃষক সমাবেশে বক্তারা একথা বলেন।
মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় কৃষক সমাবেশে বাণীশান্তা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুদেব কুমার রায়’র সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর সহসভাপতি ‘নিজেরা করি’র সমন্বয়কারী খুশী কবির।
কৃষক সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি বেলা’র প্রধান নির্বাহি সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন’র অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, এএলআরডি’র শামসুল হুদা, হিন্দু বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের কাজল দেবনাথ, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পন আইন বাস্তবায়ন জাতীয় নাগরিক সমন্বয় সেল’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ, বাপা’র কেন্দ্রিয় নেতা মো. নূর আলম শেখ, ব্লাস্ট’র অশোক মন্ডল, পরিবেশ সুরক্ষা মঞ্চ’র এড. কুদরত-ই-খুদা, বাণীশান্তা কৃষিজমি রক্ষা সংগ্রাম কমিটির নেতা গৌরাঙ্গ প্রসাদ রায়, সত্যজিৎ গাইন, হিরন্ময় রায়, সঞ্জিব মন্ডল, কৃষ্ণ পদ মন্ডল, ইউপি সদস্য পাপিয়া মিস্ত্রি, কৃষাণী বৈশাখী মন্ডল প্রমূখ। কৃষক সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন প্রধানমন্ত্রী বারবার সতর্ক বাণী উচ্চারণ করে বলেছেন কৃষিজমি ধ্বংস করে কোন উন্নয়ন করা যাবেনা, এক ইঞ্চি জমিও ফাঁকা রাখা যাবেনা এবং দুর্ভিক্ষ মোকাবেলায় কৃষি উৎপাদন বাড়াতে হবে।
অথচ মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন উপেক্ষা করে বাণীশান্তার তিনফসলি কৃষিজমিতে বালি ফেলার জন্যে নানা চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। বক্তারা বলেন কৃষিজমিতে বালি ফেলাকে কেন্দ্র করে আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি হলে তারজন্যে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসন দায়ী থাকবে।
+ There are no comments
Add yours