রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে প্রার্থীদের পক্ষে সাঁটানো সকল ধরনের প্রচারণা সামগ্রী আগামী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. আবদুল বাতেন।
এছাড়া সকল প্রকার মিছিল-মিটিং ও শোডাউনের উপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই নির্দেশনা দেন।
তিনি আরও জানান, ইভিএমে ভোট প্রদান নিশ্চিত করতে মাঠ পর্যায়ে মক ভোটিং কার্যক্রম চলবে। এজন্য খুব দ্রুত দায়িত্ব পাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণের কার্যক্রম শুরু হবে। সকল কেন্দ্রে ইভিএম এবং গোপন কক্ষ ছাড়াও সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে।
আগামী ২৭ ডিসেম্বর তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন। ২০১টি ভোটকেন্দ্রের ১৩৭টি কক্ষে সকাল সাড়ে আটটা থেকে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ২৯ নভেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। ৮ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ এবং ৯ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে জাতীয় পার্টির একক প্রার্থী হিসেবে বর্তমান মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এটিএম গোলাম মোস্তফা বাবু, জামায়াতে ইসলামীর রংপুর মহানগরের সাবেক আমির অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল নির্বাচনী প্রচারণা চালালেও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ এখনও প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি।
+ There are no comments
Add yours