মিরপুরের ৩০ কোম্পানির বাসে ই-টিকিটিং শুরু রোববার

Estimated read time 1 min read
Ad1

রোববার (১৩ নভেম্বর) থেকে রাজধানীর মিরপুরের ৩০টি কোম্পানির বাস ই-টিকিটিংয়ের আওতায় আসছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ।

শনিবার (১২ নভেম্বর) রাজধানীর ইস্কাটন এলাকায় ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি আয়োজিত ‘রাজধানী ঢাকার গণপরিবহনে ই-টিকিটিং পদ্ধতি চালু’ বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি থেকে ঢাকা শহরে চলাচলকারী ৬০ কোম্পানির বাস এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ঢাকা ও ঢাকা শহরতলীর ৯৭ কোম্পানির বাস ই-টিকিটিংয়ের আওতায় চলাচল করবে।

গত ২২ সেপ্টেম্বর থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে ই-টিকিটিং পদ্ধতি চালু করা হয়। ওই সময় মিরপুরের আটটি বাস কোম্পানিতে প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে এটি চালু করা হয়েছিল। এই পদ্ধতিতে যাওয়ার পর দেখা গেল মালিকরা ইনকাম সঠিকভাবে পাওয়া যাচ্ছে না।

তাদের অনেকে বাস চালাতে আগ্রহী হলো না। পরে তাদের সঙ্গে কথা বলে ই-টিকিটিং মেশিন বাসের ভেতরে দেওয়া হলো। পরীক্ষামূলকভাবে সেই কাজটি করায় দেখা গেছে আগের চেয়ে ফলাফল অনেক ভালো এসেছে। এতে করে মালিকদের ইনকাম বেড়েছে। আগে গাড়িতে দুই জন কর্মী থাকলেও এখন সেখানে তিনজন কর্মীর প্রয়োজন হচ্ছে। এদের মধ্যে একজন চালক, হেলপার এবং কন্ট্রাক্টর।

খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে আমরা একটি মনিটরিং সেল গঠন করেছি ই-টিকিটিংয়ের জন্য। দুজন কর্মকর্তা এটি সমন্বয় করবেন। এর জন্য আমরা একটি হটলাইন তৈরি করেছি যেখানে তিনটি নম্বর রয়েছে। নম্বরগুলো হচ্ছে— ০১৬১৮৯৩৩৫৩১, ০১৬১৮৯৩৬১৮৫ এবং ০১৮৭০১৪৬৪২২। সমিতির পক্ষ থেকে আট জনকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, যারা পুরো ঢাকা শহর ঘুরে ঘুরে বিষয়টি দেখবেন। পাশাপাশি কয়েকটি কোম্পানির পক্ষ থেকে তারাও স্পেশাল চেকার রাখবেন।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে মিরপুর মালিক সমিতির সেন্ট্রাল কমিটির মাধ্যমে সব কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ঢাকা শহরের মধ্যে চলাচলকারী সব কোম্পানির বাসকে ই-টিকিটিংয়ের আওতায় আনব। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ঢাকা শহরতলীতে (গাজীপুর, সাভার, নবীনগর, ধামরাই, মুন্সিগঞ্জ) চলাচলকারী ৩৭টি বাসকেও ই-টিকিটিংয়ের আওতায় আনা হবে।

২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই ঢাকা শহর এবং শহরতলীতে চলাচলকারী সব বাস ই-টিকিটিংয়ের আওতায় আসবে। ঢাকা শহর এবং শহরতলীতে চলাচলকারী মোট বাসের সংখ্যা হচ্ছে ৫ হাজার ৬৫০টি। এর মধ্যে ঢাকা সিটিতে চলে ৩ হাজার ১১৪টি এবং শহরতলীতে চলে ২ হাজার ৩৩৬টি।

পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব বলেন, ই-টিকিটিং চালু হলে অসম প্রতিযোগিতা বন্ধ হবে। কারণ চালকদের বেতন নির্ধারণ করা দেওয়া থাকবে। ই-টিকিটিংয়ের জন্য বর্তমান থেকে আরও অনেক টাকা বেশি বেতন নির্ধারণ করে তাদের দেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের ই-টিকিটিং সফল হলে আমরা বাসে পাঞ্চ কার্ডের ব্যবস্থা করব ভবিষ্যতে।

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours