একই ভেন্যু, একই প্রতিপক্ষ। ম্যাচটাও ফাইনাল। বিশ্বকাপের বড় মঞ্চে ৯২-এর প্রতিশোধ নিল ইংল্যান্ড।
পাকিস্তানকে উড়িয়ে সেই মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডেই ট্রফি বুঝে পেল ইংলিশরা!অল্প পুঁজি নিয়েও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের মাঝামাঝি সময়ে ফাইট করেছিল পাকিস্তান।
শেষ দিকে হেসেখেলেই ৫ উইকেটে জয় পায় জস বাটলার বাহিনী। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতল ইংলিশরা, আগেরবার জিতেছিল ২০১০ সালে।
প্রতিশোধটা ইংলিশরা এমন ভাবে নিয়েছে যে পাত্তাই পায়নি পাকিস্তান। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের গ্যালারির ৮০ হাজার ৪৬২জন দর্শক সামনে রেখে দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ট্রফি জিতল ইংল্যান্ড।
দিন-রাতের ম্যাচে বৃষ্টির শঙ্কা উড়িয়ে টস ভাগ্যটা জস বাটলারের পক্ষেই ছিল। ইংল্যান্ড অধিনায়ক আবহাওয়া আর এমসিজির উইকেটের কথা ভেবে শুরুতে বল তুলে দেন নিজ বোলারদের হাতে। তার সিদ্ধান্তটা যৌক্তিক হতে সময় লাগেনি।
২০ ওভারে পাকিস্তান ৮ উইকেট হারিয়ে তুলে মাত্র ১৩৭ রান। জবাবে নেমে পুরো টুর্নামেন্টে ফ্লপ বেন স্টোকস দেখান যোগ্যতার পরিধিটা। তার ব্যাটেই ইংল্যান্ড ফাইনালটা নিজেদের করে নেয়। ১৯ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ড বনে যায় বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন!
ইংলিশদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে পাকিস্তানের ইনিংসে শাদাব খান ছাড়া কেউই টি-টোয়েন্টিসুলভ খেলতে পারেননি। ফলে ৮ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৩৭ রান করে বাবর আজম বাহিনী।
জবাব দিতে নেমে ইংল্যান্ডও একটা পর্যায়ে ভীষণ চাপে পড়েছিল। কিন্তু বেন স্টোকসের বুদ্ধিদীপ্ত ইনিংস ও শেষ দিকে মঈন আলির ঝড়ে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইংল্যান্ড।
নির্বিঘ্নে খেলা হলো আর খেলায় পাকিস্তানকে নিয়ে খেলল ইংল্যান্ড। ৯২ আর ফিরে আসল না, বাবর আজমও হতে পারলেন না ইমরান খান, সেই মেলবোর্নেই ১৯৯২ এর ‘প্রতিশোধ’ নিল ইংল্যান্ড।
+ There are no comments
Add yours