১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী তাদের এ দেশীয় দালাল-রাজাকারদের সহায়তায় উলিপুরের হাতিয়ায় ভয়াবহ গণহত্যা চালায়। এই গণহত্যায় শত শত নিরপরাধ মানুষ শহীদ হয়।
রোববার সন্ধ্যায় উলিপুরে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটি ও সুশাসনের জন্য নাগরিক(সুজন) এর আয়োজনে বণিক সমিতি মিলনায়তনে ১৯৭১ সালের ১৩ নভেম্বর সংঘঠিত হাতিয়া গণহত্যার ভয়াল স্মৃতি স্মরণে আলোচনা সভার শুরুতে হাতিয়া গণহত্যার উপর গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন উলিপুরের ইতিহাস বিষয়ে গবেষক, লেখক ও প্রভাষক আবু হেনা মুস্তফা।
সভায় এম এ মতিন কারিগরি ও কৃষি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ খোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন মন্টু, সহকারী কমিশনার(ভূমি) কাজী মাহমুদুর রহমান, উলিপুর এসএস স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম সরদার, উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আশরাফুজ্জামান, বণিক সমিতির সভাপতি সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে গবা, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবু সাঈদ সরকার, হাতিয়া গণহত্যার প্রতিরোধযোদ্ধা যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যক্ষ আহসান হাবীব রানা, উলিপুর সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ আবু যোবায়ের আল মুকুল, উলিপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ দেবব্রত রায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বপন কুমার সরকার ভকত, উলিপুর সুজন’র সাধারন সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিকী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালচনা করেন উদীচীর জাতীয় পরিষদ সদস্য মিনহাজ আহমেদ মুকুল।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের এই দিনে পাকিস্তানি সেনাদের হাতে উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় গণহত্যার শিকার হয়েছিলেন উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের সাধারণ জনগণ।
দেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র ৩২ দিন আগে পাকিস্তানি হানাদার বাহীনি দাগার দুটি গ্রামে নির্মম ও জঘন্যতম বর্বরতা চালিয়ে নির্বিচারে হত্যা করে ৬শ ৯৭ জন নিরাপরাধ মানুষকে।
+ There are no comments
Add yours