রানা মোল্লা,রামগড়(খাগড়াছড়ি):খাগড়াছড়ির রামগড়ে বল্টুরাম টিলা,ফেনীরকুল,সোনাইপুল ওয়ার্ডে চলছে অবাধে মাদক ব্যবসা। আর এসব চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের প্রকাশ্য বিচরণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। কেউ কিছু বললে তাদের ওপর নেমে আসে খড়গ।
এলাকাবাসী ও স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র জানায়, উপজেলার বল্টুরাম বাজার থেকে কাশীবাড়ি পযন্ত গ্রামে দিনরাত সবসময় চলে মাদক কারবারিদের ব্যবসা। মাদক সেবীদের নিরাপদ স্থান হওয়ায় নির্বিঘ্নে চলে তাদের ফেনসিডিল, ইয়াবা, টাফেনটা ট্যাবলেট, গাঁজা ও হেরোইনসহ বিভিন্ন ধরণের মাদক সেবনের কাজ। তবে মাদক সেবীদের আনাগোনা বেশী লক্ষ্য করা যায় বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত। রাত যতবাড়ে মাদক সেবীদের জন্য বল্টুরাম গ্রাম পরিণত হয় অভয়ারণ্য।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার অনেকে জানিয়েছেন, এলাকার চিহ্নিত সব মাদক ব্যবসায়ী বল্টুরামে দীর্ঘ দিন ধরে ব্যবসা করে আসছে। বল্টুরাম এলাকায় প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে বিভিন্ন ধরনের মাদক বিক্রয় করে থাকে। যা এলাকায় মাদকের হাট নামে পরিচিতি রয়েছে। ওই এলাকায় দোকানসহ বেশ কিছু দোকানপাটেও চলে মাদকের ব্যবসা। আর ওইসব দোকান থেকে দূর দূরান্তের আসা বিভিন্ন মাদকসেবী ইয়াবা, ফেনসিডিল ও হেরোইন সেবন ও ক্রয় করে থাকে।
মাদক বিক্রেতা বা ব্যবসায়ীরা মাঝে মধ্যে কৌশল পরিবর্তন করে বিভিন্ন স্থানে মাদক বিক্রয়ের নিরাপদ আস্তানা গড়ে তুলে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। এছাড়াও করোনার কারনে ওই এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সেখানকার কোমলমতি শিক্ষর্থীদের হাতেও ইয়াবা তুলে দিয়ে তাদের মাধ্যমে করা হচ্ছে মাদক ব্যবসা। আর এসব মাদক ব্যবসায়ীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে থাকেন বল্টুরাম গ্রামের প্রভাবশালী এক নেতা। তার ছত্রছায়ায় মাদক ব্যবসায়ীরা অবাঁধে মাদক ব্যবসা চালালে এলাকার সাধারন মানুষ তাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পায় না।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী একজন সচেতন ব্যক্তি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এসব মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে বলেও অজ্ঞাত কারণে এখন পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবন্থা গ্রহণ করা হয়নি। তাই বন্ধও হচ্ছে না তাদের মাদক ব্যবসা। এমনি রামগড় এলাকার বিভিন্ন প্রভাবশালী নেতা ও জনপ্রতিনিধি মাদক ব্যবসায় জড়িত।
তাই বল্টুরাম গ্রামের এসব মাদকের হাট বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনসহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভূক্তভোগী এলাকাবাসী।
+ There are no comments
Add yours