রংপুর জেলার সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালসহ প্রায় ৮০ ভাগ ভবনে নেই অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা। সরকারি বিধিনিষেধ ও বিল্ডিং কোড না মেনে ভবন নির্মাণ ও অগ্নি দুর্ঘটনা প্রতিরোধে নিয়ম মানছেন না ভবন মালিকরা।
ফলে দিন দিন বাড়ছে অগ্নি ঝুঁকি। গত এক বছরে জেলায় ছোট-বড় ৪ হাজারের বেশি অগ্নি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রাণ হারিয়েছেন ২৪১ জন।
আজ (১৫ নভেম্বর) ‘ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের রংপুর বিভাগীয় উপ-পরিচালক জসিম উদ্দিন এ তথ্য জানান।
ফায়ার সার্ভিসের তথ্য মতে, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কছিরউদ্দিন হাসপাতাল, প্রাইম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ রংপুর নগরীর বেশিরভাগ হাসপাতালে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা অনুন্নত। হাসপাতালগুলোর মতো নগরীর বেশির ভাগ বিপণি বিতানও অগ্নি ঝুঁকিতে রয়েছে।
জেলা পরিষদ সুপার মার্কেট, কমিউনিটি সুপার মার্কেট, জাহাজ কোম্পানি শপিং কমপ্লেক্স, গোল্ডেন টাওয়ার, শাহ আমানত টাওয়ার, মিনি সুপার মার্কেট, সিটি বাজার, নবাবগঞ্জ বাজারসহ ছোট বড় বাণিজ্যিক ভবন ও মার্কেটগুলোতে অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা নেই। এসব মার্কেট, বিপণী বিতান ও বাণিজ্যিক ভবনে অগ্নি দুর্ঘটনা ঘটলে মুহূর্তেই হতে পারে প্রাণহানি।
নিয়ম অমান্যকারীদের তালিকা করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কাজ শুরু করছে ফায়ার সার্ভিস। আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনসহ বিভিন্ন ভবন ও প্রতিষ্ঠানে বেশ কিছু শর্ত সাপেক্ষে নো অবজেক্টশন সার্টিফিকেট (এনওসি) দেওয়া হয়।
অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখাসহ অন্যান্য শর্ত বাস্তবায়ন না করলে অভিযান পরিচালনা করে ভবন মালিকদের সতর্ক করা হচ্ছে। তবে অগ্নি দুর্ঘটনা রোধে জনসচেতনতা বাড়ানোর ব্যপারে বেশি গুরুত্বারোপ করছে সেবামূলক প্রতিষ্ঠান ফায়ার সার্ভিস।
+ There are no comments
Add yours