জাতিসংঘের কপ ২৭ জলবায়ু সম্মেলনের খসড়া চুক্তি প্রকাশ করা হয়েছে। আজ (১৭ নভেম্বর) মিশরের শার্ম আল শেখ শহরে সম্মেলনের আয়োজকরা এই চুক্তি প্রকাশ করেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স।
বিগত বিভিন্ন জলবায়ু সম্মেলনের মতো এবারও বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার প্রসঙ্গে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু জলবায়ুগত দুর্যোগের শিকার উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য তহবিল গঠনের ব্যাপারটিকে কম গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঊনবিংশ শতাব্দীর পঞ্চাশের দশক থেকে শুরু হওয়া শিল্পায়নের প্রভাবে বিশ্বের তাপমাত্রা বাড়ছে। আন্তর্জাতিক জলবায়ু বিশেষজ্ঞদের ভাষ্য অনুযায়ী, প্রাক শিল্পযুগের তুলনায় দেড়শ বছরে বিশ্বের তাপমাত্রা বেড়েছে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি।
অভিযোগ উঠেছে, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে ঝড়, বন্যা ও খরার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হওয়া উন্নয়নশীল ও দরিদ্র দেশগুলোকে অর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদানের ব্যাপারটি চলতি বছরের জলবায়ু খসড়া চুক্তিতে যথেষ্ট গুরুত্ব পায়নি।
বিশ্বের যেসব দেশ সবচেয়ে বেশি জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার ও কার্বন নিঃসরণ করে, সেসবের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে চীন এবং যুক্তরাষ্ট্র। কপ ২৭ সম্মেলনে চীনের জলবায়ু বিষয়ক দূত শিয়ে ঝেনহুয়ার সঙ্গে বিশেষ রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন জন কেরি।
ঊণবিংশ শতাব্দির মাঝামাঝি অর্থাৎ ১৮৫০ সালের কাছাকাছি সময়ে ইউরোপে শিল্প বিপ্লব ঘটার পর থেকে এখন পর্যন্ত শিল্পোৎপাদন ও উন্নত জীবনযাত্রার স্বার্থে বিপুল পরিমাণ জীবাশ্ম জ্বালানি পুড়িয়ে চলছে বিশ্বের উন্নত বিভিন্ন দেশ।
স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল বিশ্বভুক্ত দেশগুলোতে জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর হার উন্নত বিভিন্ন দেশের তুলনায় এখনও অনেক কম।
+ There are no comments
Add yours