১০ তারিখ নিয়ে বিএনপির এখন ভিন্ন সুর বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মুখে রক্ষণাত্মক মনোভাব অন্তরে আক্রমণাত্মক মনোভাব তাদের।
১৮ নভেম্বর (শুক্রবার) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ১০ তারিখে (১০ ডিসেম্বর) আপনারা ডিফেন্সিভ মুডে কেন? মনে হলো এই ক্ষমতা নিয়ে গেলেন। মনে হয় এই হাওয়া ভবন এসে গেল। এরকম একটা ভাব ছিল না? সেটা গেল কোথায়? এখন বলে কী? তাহলে লাল কার্ড দেখিয়েছে কারা?
কারা লাল কার্ড দেখায়? বলে, ঢাকার রাজপথে বিজয় মিছিল হবে। এইসব অনেক কথা বিএনপি নেতারা অবিরাম তোতা পাখির মতো বলেছে। এখন ভিন্ন সুর! না জানি কী কৌশল!
তিনি বলেন, বিএনপি যতই ষড়যন্ত্র করুক বাংলাদেশ কখনও অনিশ্চয়তার দিকে যাবে না। আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন দেখে তাদের অন্তর্জ্বালা বাড়ছে।
প্রতিহিংসার রাজনীতির হোতা বিএনপি। বিএনপির প্রধান শত্রু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে বিএনপি।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের ১ম জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক শিরিন আহমেদ। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ। সম্মেলন পরিচালনা করেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব মো. হারুন উর রশিদ।
বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রমের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ বিএনপি নয়, যাদের বছরের পর বছর সম্মেলন হয় না। যাদের ঘরে বসে কমিটি হয়। এমন পার্টি আওয়ামী লীগ না যে দাবি করলেই নেতা হয়ে যাব।
বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে মীরজাফরের বিশ্বাসঘাতকতার জন্য পরাজয় বরণ করতে হয়েছে। মীর জাফর আলী খান তিন মাস ক্ষমতায় থাকতে পারেননি- এ প্রসঙ্গ টেনে ওবায়দুল কাদের বলেন, তেমনি খন্দকার মোশতাক তিন মাস ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। ইতিহাস কোনো প্রভুর রক্তচক্ষুকে ভয় পায় না। ইতিহাস কোনো স্বৈরশাসকের দাসত্ব করে না।
+ There are no comments
Add yours