
সৌদি সরকারের কাছে একটি বিলম্বিত পেমেন্ট শিডিউলের মাধ্যমে বাংলাদেশকে অশোধিত ও পরিশোধিত উভয় ধরনের তেল কেনার সুযোগ দেয়ার প্রস্তাব করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ (১৯ নভেম্বর) রাজধানীতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ইসা ইউসেফ ইসা আল দুহাইলানের সঙ্গে বৈঠকে এ প্রস্তাব দেন তিনি।
বৈঠকে শেখ হাসিনা বলেন, সৌদি আরব প্রস্তাবটি বিবেচনা করলে ক্রমবর্ধমান শিল্পের চাহিদা মেটানো আমাদের পক্ষে ভালো হবে। আমাদের কিছু সহায়তা প্রয়োজন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার সাংবাদিকদের কাছে এসব তথ্য জানান।
উপপ্রেস সচিব বলেন, সৌদি যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আবদুল আজিজ আগামী বছর সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন। দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ইতিহাসে এ সফরটি একটি যুগান্তকারী ঘটনা হবে।
বৈঠকে সৌদি রাষ্ট্রদূত দেশটির যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আমন্ত্রণ গ্রহণের একটি স্বীকৃতিপত্র প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন। যুবরাজ চলতি বছরের ৩০ আগস্ট বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে প্রস্তাবিত বাংলাদেশ সফরে সম্মতি দিয়েছেন।
বিষয়টি অনাবিষ্কৃত সহযোগিতার একটি বিশাল ক্ষেত্র উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত মাসে সৌদি যুবরাজ পাঁচটি দেশে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি তহবিল বরাদ্দ করেছেন।
বাংলাদেশের মেগা প্রকল্পের জন্য এ ধরনের তহবিল পাওয়া গেলে বাংলাদেশ-সৌদি বিনিয়োগ থেকে লাভবান হবে এমন একটি দেশ হতে পারে। জবাবে বাংলাদেশে মেগা প্রকল্পে বিনিয়োগে সৌদি আরবের ক্রমবর্ধমান আগ্রহের প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ মুসলিম উম্মাহ তথা বাংলাদেশের জনগণের বৃহত্তর কল্যাণে সৌদি আরবসহ সব মুসলিম দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে।
এ সময় সৌদি কূটনীতিক অনেক সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও ১১ লাখ বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ার জন্য বিশেষ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, ‘এটি অত্যন্ত উদার মনোভাব।’

+ There are no comments
Add yours