২০০৪ সালের ২১ নভেম্বর দুর্নীতি দমন ব্যুরো থেকে স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশনের—দুদক যাত্রা শুরু।
লক্ষ্য একটাই, অব্যাহতভাবে দুর্নীতি দমন, নিয়ন্ত্রণ, প্রতিরোধ এবং উত্তম চর্চার বিকাশ। ১৭টি বছরের দুরন্ত কৈশোর পেরিয়ে ১৮তম বছরে পা রাখল রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধের একমাত্র প্রতিষ্ঠানটি।
বিচারপতি সুলতান হোসেন খানের নেতৃত্বে প্রথম কমিশনের যাত্রা শুরু ২০০৪ সালে। এরপর যথাক্রমে সাবেক সেনাপ্রধান হাসান মশহুদ চৌধুরী, গোলাম রহমান, মো. বদিউজ্জামান ও ইকবাল মাহমুদের পর ২০২০ সালের ১০ মার্চ চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেন মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ।
যেখানে কমিশনার অনুসন্ধান ও তদন্ত বিভাগের কমিশনার হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন ড. মো. মোজাম্মেল হক খান ও মো. জহুরুল হক।
মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ দায়িত্ব নেওয়ার পর পেরিয়ে গেছে দেড় বছরের বেশি সময়। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জন্মদিনে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সোমবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা আয়োজন করা হয়েছে।
দুদকের পাঁচ বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, অভিযোগের হার অনেক। এখনো জনগণের প্রত্যাশা সেভাবে পূরণ করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। বিভিন্ন সময়ে চিহ্নিত দুর্নীতিবাজদের ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
দুর্নীতির ৭ হাজারের বেশি অনুসন্ধান ও তিন হাজারের মামলার চাপে রয়েছে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানটি। সাফল্য রয়েছে দুর্নীতির মামলার সাজার হারে। বর্তমানে দুর্নীতি মামলার সাজার হার ৬০ শতাংশের বেশি।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দুদকে তিন হাজার ৮৭৪টি দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন ও এক হাজার ৫২১টি মামলা তদন্তাধীন রয়েছে। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ২ হাজার ৭৮৯টি চিঠি দিয়েছে দুদক।
+ There are no comments
Add yours