কাতারে হেক্সা জয়ের মিশনটা দারুণভাবেই সূচনা করেছে ব্রাজিল। শুক্রবার রাতের এই জয় সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা ব্রাজিল সমর্থকদের মুখে চওড়া হাসি ছড়িয়েছে।
সার্বিয়ার বিরুদ্ধে অনবদ্য এই জয়ের নায়ক জোড়া গোল করা রিচার্লিসন। তবে ব্রাজিলের জয়ের ওই উচ্ছ্বাসের মধ্যে ভর করেছে নেইমারের ইনজুরির দুশ্চিন্তা।
ব্রাজিল দলের চিকিৎসক নিশ্চিত করেন, ডান পায়ের অ্যাঙ্কেল মচকে গেছে নেইমারের।
শতভাগ ফিট হয়েই কাতারে বিশ্বকাপ খেলতে এসেছেন নেইমার। সার্বিয়ার বিপক্ষে ব্রাজিলের আক্রমণ তৈরি করে দেওয়ার দায়িত্বে খেলেছেনও দারুণ।
দুটি গোলেই ছিল অবদান। তবে বেশ কয়েকবার সার্ব ডিফেন্ডারদের কড়া ট্যাকলের শিকার হয়েছেন তিনি। সব মিলিয়ে ফাউলের শিকারই হয়েছেন ৯ বার।
এর মধ্যে নিকোলা মিলেনকোভিচের হাঁটুর ট্যাকলটি ছিল কড়া। সেই ট্যাকলে ডান পা মচকে যায় নেইমারের। ব্রাজিল ২-০–তে এগিয়ে থাকার সময় কোচ তাঁকে তুলে নেওয়ার সময়ও চোটের তীব্রতা বোঝা যায়নি।
খেলা শেষ হতে তখনও ১০ মিনিট বাকি ছিল। তার আগেই সাইডলাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন নেইমার। বাকি ম্যাচটুকু তিনি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়েই চালিয়ে নেন। ম্যাচ শেষেও একইভাবে হাটতে দেখা গেছে।
পরে জানা যায় গোড়ালিতে চোট পেয়েছেন। শুরুতে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। তবে ব্রাজিল সমর্থকদের জন্য দুঃসংবাদ, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে তাকে পাচ্ছে না তিতে বাহিনী।
ব্রাজিল দলের চিকিৎসক রদ্রিগো লাসমার শুরুতে চোটের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘সার্বিয়ান খেলোয়াড়ের হাঁটুর আঘাতে ডান পায়ের গোড়ালিতে চোট পেয়েছেন নেইমার। আমরা সঙ্গে সঙ্গে তারা সুশ্রুষা করেছিলাম। পরে তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। চোট কতটা গুরুতর তা জানতে কমপক্ষে ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে।’
তিনি যোগ করেন, ‘যদিও এমআরআইয়ের তেমন কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। তবুও আমরা করব। শুক্রবারই তার চোটের বিষয়ে জানতে পারব। আপাতত আমাদের অপেক্ষা, চোট যেন খুব গুরুতর না হয়।’
তবে মার্কার প্রতিবেদনে জানা গেছে, তাকে এখনও পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এই চোট ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সাড়বে না। তাই সোমবার সুইজাল্যান্ডের বিপক্ষে ব্রাজিল তাদের দ্বিতীয় ম্যাচে পাবে না নেইমারকে। চোট না সাড়লে আগামী শুক্রবার ক্যামেরুনের বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচেও তাকে না পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
+ There are no comments
Add yours