ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে বালু ও কাঠ ব্যবসায়ী কাওসার খানের (৪১) হত্যা রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় জড়িত কিশোর (১৬) ও তার বাবা শাহিন মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিকৃত যৌনাচার থেকে বাঁচতে ওই ব্যবসায়ীকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে ওই কিশোর।
আজ (২৭ নভেম্বর) নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান এ তথ্য জানান।
হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরু হওয়ার ১২ ঘণ্টার মধ্যে রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়েছে বলে তিনি জানান।
পুলিশ সুপার জানান, কাওসার দীর্ঘদিন সৌদি আরব ছিলেন। তিন বছর আগে তিনি দেশে ফিরে আসেন। দুই বছর ধরে একই গ্রামের ওই কিশোরের সঙ্গে তার পরিচয় হয় ইলেকট্রিক কাজের সুবাদে। এক বছর ধরে কাওসার ওই কিশোরের সঙ্গে সমকামিতার সম্পর্ক স্থাপন করেন। তবে ওই কিশোর বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি। কাওসার একাধিকবার তাকে ছুরি দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এ কাজে বাধ্য করেছে।
২৫ নভেম্বর কাওসার তার মোটরসাইকেলে করে ওই কিশোরকে উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের বিশাই মাতুব্বরের ডাঙ্গী গ্রামের জিয়ারত শেখের জমির ওপর বালুর ঢিপিতে নিয়ে যান।
তিনি ওই কিশোরকে সমকামিতায় বাধ্য করলে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে কাওসার একটি চাকু বের করে কিশোরকে ভয়ভীতি দেখালে দুজনের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। একপযার্য়ে কাওসারের গলায় ছুরির আঘাত লাগে। এরপর ওই কিশোর তার পিঠে, গলায় ও মাথার পেছনের অংশে ছুরি দিয়ে আঘাত করে তাকে হত্যা করে।
এ ঘটনায় নিহত কাওসারের ভাই লিয়াকত খান গতকাল শনিবার (২৬ নভেম্বর) অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে চরভদ্রাসন থানায় হত্যা মামলা করেন।
+ There are no comments
Add yours