৬ষ্ঠ হতে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন কৌশলে কোচিং করতে বাধ্য করে থাকেন ওই স্কুলের শিক্ষকরা। কোচিং’এর ফি পরিশোধ না করায় পরীক্ষার প্রবেশপত্র নিয়ে টালবাহানার অভিযোগ উঠেছে মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার বেতকা ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে।
এর আগে ওই বিদ্যালয়ের ভেতরে বিগত ৪ মাস যাবৎ প্রকাশ্যে কোচিং বাণিজ্য করে আসছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।
জানা যায়, সপ্তাহে ৩দিন করে দুই বিষয়ের উপর পড়িয়ে আদায় করা হয় ৬০০ টাকা। গত ২৮ নভেম্বর থেকে ওই বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। গরিব অসহায় অনেক শিক্ষার্থী কোচিংয়ের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় তাদের পরীক্ষার প্রবেশপত্র পেতে বেশ ভোগান্তির স্বীকার হতে হয়েছে। কোচিং ফি না দেওয়া পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে না বার্ষিক পরীক্ষার প্রবেশপত্র।
শিক্ষার্থীরা জানায়, আমাদের কোচিং শুরুর আগেও অভিভাবকদের কাছ থেকে কোনো সম্মতিও নেওয়া হয়নি। এখন আমাদের কাছে কোচিং ফরম দেওয়া হবে যা পরিবার হতে স্বাক্ষর করে জমা দিতে হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খালেদা পারভীন বলেন, যদি ওই স্কুলে কোনো অনিয়ম হয়ে থাকে তাহলে অভিবাবকরা আমার কাছে অভিযোগ করলে অবশ্যই আমি আইনগত ব্যবস্থা নেব।
+ There are no comments
Add yours