
খবর ডেস্কঃ
পণ্যের অতিরিক্ত মূল্য ও ওজনে কারচুপির অভিযোগে নগরীর অভিজাত কাঁচাবাজার কাজীর দেউড়ি বাজারের ১৫ সবজি বিক্রেতাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ অভিযান পরিচালনা করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ উমর ফারুকের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে বিএসটিআইয়ের পরিদর্শক মোঃ মুকুল মৃধা ও ফিল্ড অফিসার আব্দুল মান্নান এসময় উপস্থিত ছিলেন।
অভিযানকালে দেখা যায় সবজি বাজারে ব্যবসায়ীরা সবজির দাম রাখছেন বেশি, মুল্য তালিকা ঝুলিয়ে প্রদর্শন করার কথা থাকলেও তারা তা মানছেন না অনেকেই এমনকি ওজনে কারচুপি করার মতো বিষয়ও নজরে আসে। যার প্রেক্ষিতে ১৫ জন সবজি ব্যবসায়ীকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, সরেজমিনে দেখা যায় সবজি ব্যবসায়ীরা নিজেদের ইচ্ছেমতো দামে সবজি বিক্রি করছেন। একই সবজি ভিন্ন দোকানে ভিন্ন দাম। মুল্য তালিকা টানানো বাধ্যতামূলক হলেও তারা তা পালন করেননি- এমনকি আড়ত থেকে আনা সবজির ক্রয় রশিদ দেখাতে পারেনি। এসব অনিয়মের কারণে তাদের অর্থদণ্ডের আওতায় আনা হয়।
তিনি আরও বলেন, দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি ওজনে কারচুপির অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি। ডিজিটাল নিক্তির মাধ্যমে ওজন মাপা হলেও সেখানেও বিভিন্ন কায়দায় ওজেন কম দেয়া হয়। অনেকের ডিজিটাল নিক্তি বিএসটিআই কর্তৃক সার্টিফাইড নয়।
উমর ফারুক বলেন, অভিযানকালে কয়েকজন ক্রেতা অভিযোগ করেন বাজার ভেদে সবজির দাম ভিন্ন, দামের ব্যবধানও অনেক বেশি যেমন ১ কেজি মরিচের দাম এক দোকানে ১৫০ টাকা অন্য দোকানে ২০০ টাকা, ১ কেজি টমেটোর দাম ১০০ টাকা অন্য দোকানে ১৪০ টাকা যার ফলে তারা ঠকছে ও সবজির বাজার এখন তাদের মতো সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। ব্যবসায়ীদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে একজন আরেকজনকে দোষারোপ করে।
অভিযানে কাজির দেউড়ী কাঁচা বাজারের মাছ, মাংস, শুটকি ও ফলের দোকানের ডিজিটাল নিক্তির যথার্থতা পরীক্ষা করা হয়। বাজার মনিটরিংয়ের অংশ হিসেবে জেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।পিআইডি
+ There are no comments
Add yours