
ইউনুস আলী,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম’র নির্দেশনায় অটো চালকদের মাঝে ট্রাফিক আইন মানা ও দূর্ঘটনা প্রতিরোধে করনীয় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনাপুর্বক সচেতনতা তৈরীতে কাজ করছেন জেলা পুলিশ কুড়িগ্রাম ট্রাফিক বিভাগের সদস্য সার্জেন্ট আল ফরিদ সহ ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (০৫ নভেম্বর) কুড়িগ্রাম শহরের ফিডার রোড গুলোর বিভিন্ন মোড়ে সদর ট্রাফিক কুড়িগ্রামের সার্জেন্ট আল ফরিদ ও তার টিম অটো চালকদের নিয়ে সতর্কতামুলক আলোচনা ও মতবিনিময় করেন।
অটো, অটোরিক্সা ছিনতাই ও ছিনতাই পরবর্তী খুন প্রতিরোধে করনীয় শীর্ষক পরামর্শ প্রদান করা হয়। আঞ্চলিক সড়কে চলাচলের শৃঙ্খলায় রাস্তায় যত্রতত্র যাত্রী উঠানামা ও যত্রতত্র পার্কিং এবং রং সাইডে চলাচল না করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়। হর্ন দেওয়া সত্ত্বেও সাইট না দেয়া, সন্ধ্যার পর গাড়িতে এলইডি লাইট ব্যবহার না করা, রাতে অপরিচিত জায়গায় রিজার্ভ ভাড়ায় সতর্ক থাকা, প্রয়োজনে কৌশলে ছবি তুলে রাখা, ইন্টারনেট ব্যবহার করলে ছবিসহ তথ্য পরিবারের বা অন্য কোন বিশ্বস্ত নাম্বারে মেসেজ করে রাখা, সন্দেহজনক ব্যাগ কিংবা কোন দ্রব্য দেখলে পুলিশকে জানানো, নিজের নিরাপত্তা বিবেচনা করা এবং মোবাইলের ডায়াল কলে 999 কিংবা স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের নম্বর রাখা প্রভৃতি সতর্কতামূলক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। সড়কে শৃংখলা ও যাত্রী সহ চালকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে চালকদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টিতে ধারাবাহিক ভাবে কাজ করছে জেলা পুলিশ কুড়িগ্রাম।
কুড়িগ্রাম সদর ট্রাফিক বিভাগের সচেতনতামুলক আলোচনা বিষয়ে অটো চালকদের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে তারা বলেন, জীবিকার তাগিদে আমরা ঘর থেকে বের হই, কেউই জানিনা ফিরতে পারবো কিনা? কিন্তু সচেতনতা ও সতর্কতা কিছুটা হলেও ঘরে ফিরবার আশা জাগায়। এ সময় অটো চালকগন জেলা পুলিশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত নির্দেশনা ও কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেন। ইতিপূর্বে অটো ও অটো রিক্সাগুলো রাস্তার উপর যত্রতত্র দাড়িয়ে থাকতো। ট্রাফিক পুলিশের নজরদারীতে সেগুলো রাস্তার এক পাশে ফাকা অংশে লাইন করে রাখার ব্যাবস্থা করা হয়।পাশাপাশি রাস্তার পরিবহন চলাচল ও ফুটপাতে মানুষের চলাচল বিঘ্নিত না ঘটে সেদিকে খেয়াল রাখতে কঠোর অবস্থানের কথা জানান ট্রাফিক পুলিশ বিভাগের সদস্যরা।
ট্রাফিক পুলিশ বিভাগ কুড়িগ্রামের এক পুলিশ কর্মকর্তা জেলা পুলিশের হয়ে বলেন, অটোরিকশা, অটো, মাহিন্দ্রা এবং এই জাতীয় গাড়িগুলো সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ তে মহাসড়কে চলাচলে কড়া বিধি নিষেধ রয়েছে। তবে এজাতীয় যানবাহন আঞ্চলিক সড়কে এবং ফিডার রোডে চলাচল করতে পারবে।যেহেতু গাড়িগুলো আমাদের দেশে তৈরি হয়না আমদানি করা হয় আর সেটা অব্যাহত রয়েছে এবং আমাদের সমাজের অনেক মানুষ বিশেষত বেকার যুবকদের অনেকেই জীবিকা নির্বাহের জন্য এজাতীয় গাড়ি গুলোর উপর নির্ভর করে তাই আমাদের দায়িত্ব তাদের নিরাপত্তা বিধান, সতর্ক করা ও সচেতন করা। সে লক্ষ্যেই অটো চালকদের ট্রাফিক আইন মানা ও যাত্রীসহ তাদের নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতামুলক পরামর্শ ও নির্দেশনা প্রদান করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত মাসে দূর্বৃত্তকারীরা অটো ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে উলিপুরে এক অটো চালক কে হত্যা করে ও রাজারহাট এলাকার আর এক অটো চালক কে একই উদ্দেশ্যে লালমনিরহাট এলাকায় গলায় ছুরি চালায়। ক্লু লেস আলোচিত হত্যা মানলার আসামী সনাক্ত, গ্রেফতার ও ছিনতাইকৃত অটো উদ্ধারের পর জেলা পুলিশ কুড়িগ্রাম সচেতনতানুলক এ কার্যক্রম ও সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সিসিটিভি স্থাপন সহ বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন করছে।
+ There are no comments
Add yours