রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে মকবুল নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তবে তিনি বিএনপির কর্মী কি না তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আজ (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে ঐ ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ ৮হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মকবুলকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিএনপি কার্যালয়ের সামনে থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে এখানে নিয়ে এসেছি। সে ব্যক্তির পকেটে থাকা মোবাইল ফোন থেকে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় তার নাম মকবুল হোসেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গুলিবিদ্ধ হয়ে বা অন্য কোনোভাবে আহত হয়ে বিএনপির অনেক নেতাকর্মী চিকিৎসা নিতে এসেছেন।
এদের মধ্যে ২১ জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- রবিন খান, আনোয়ার ইকবাল (বোরহান উদ্দিন কলেজ ছাত্রদল), মো. খোকন, মনির হোসেন, মো. রাশেদ (পল্টন থানা যুবদল), আসাদুজ্জামান (ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদল), সুমন (ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদল), জহির হাসান (ছাত্রদল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়), শামীম (রূপনগর থানা স্বেচ্ছাসেবক দল), মো. হানিফ, হৃদয় (কদমতলী থানা স্বেচ্ছাসেবক দল), মকবুল হোসেন (কদমতলী থানা স্বেচ্ছাসেবক দল), ফারহান আরিফ (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মুজিব হলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক), নূরনবী (শাহবাগ থানা যুবদল), ইয়াসির আরাফাত (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জসীমউদ্দীন হল), সুলতান আহমেদ (শাহ আলী থানা যুবদল), মনির (শাহবাগ থানা যুবদল), আমিনুল ইসলাম (শেরেবাংলা নগর থানা যুবদল), আশরাফুল ইসলাম (গুলশান থানা ছাত্রদল), বিপ্লব হাওলাদার (ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদল),মেহেদী হাসান নয়ন (ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদল)।
এর আগে বিকেল ৩টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল ছুড়ে নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। নেতাকর্মীরাও পাল্টা ইট-পাটকেল ছোড়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে।
+ There are no comments
Add yours