বুধবারের সংঘর্ষের পর নয়াপল্টনের বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও পুরো এলাকায় এখন থমথমে অবস্থা। মোতায়েন রয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।
ডিএমপি বলছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে অবনতি না ঘটে, সেজন্যই সেখানে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ সদস্যরা। এর আগে রাতে নাইটিংগেল মোড় থেকে আরামবাগ মোড় পর্যন্ত ব্যারিকেড দিয়ে রাখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুরো সড়কেই ছিল তাদের তৎপরতা। রাতেই কার্যালয়ের সামনে ও সড়কে থাকা বিএনপির ব্যানার ফেস্টুন সরিয়ে নেয় সিটি কর্পোরেশনের কর্মীরা। সকাল থেকে নেতাকর্মীদের চলাফেরাও সেখানে প্রায় নেই।
এর আগে বুধবার, বেলা ৩ টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পরে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, শিমুল বিশ্বাস ও আমানউল্লাহ আমানসহ শতাধিক নেতা-কর্মী আটক হয়েছেন বলে দাবি করে বিএনপি। এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় ১ জন নিহত হয়েছে। তবে ২ জন নিহতের দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ঢাকায় ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশ সামনে রেখে বুধবার দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। এক পর্যায়ে পুলিশ তাদের সড়ক ছাড়তে বললেও, সেখানেই শ্লোগান দিতে থাকেন তারা। এসময় পুলিশ প্রথমে লাঠিচার্জ ও পরে টিয়ারশেল ছোঁড়ে।
পাল্টা প্রতিবাদে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোঁড়ে বিএনপি কর্মীরা। সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে পুরো নয়াপল্টন এলাকায়।
ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষের পর দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল কার্যালয়ে প্রবেশ করতে চাইলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। এ অবস্থায় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন মির্জা ফখরুল। তার দাবি, বিএনপি অফিস আশপাশের এলাকা থেকে বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ বলছে, রাস্তা বন্ধ করে অবস্থান নেয়ায় বিএনপি কর্মীদের সরাতে গেলে সংঘর্ষ বাধে।
+ There are no comments
Add yours