
ইউনুস আলী,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে হাতিয়া গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে। ১৩ নভেম্বর (শুক্রবার) সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও কালো পতাকা অর্ধনমিতকরণ, হাতিয়া ইউনিয়নের দাগারকুটি গণহত্যা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ, দোয়া মাহফিল ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।
হাতিয়া গণহত্যা স্মৃতিস্তম্ভ চত্বরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ-জান্নাত রুমী’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথী হিসেবে বক্তব্য রাখেন, চিলমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আলী সরকার বীরবিক্রম, বিশেষ অতিথী হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন মন্টু, জেলা পরিষদ সদস্য রেজাউল ইসলাম লিচু, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আলহাজ¦ ফয়জার রহমান, গোলাম মোস্তফা, উলিপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মোয়াজ্জেম হোসেন, হাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন, হাতিয়া ইউনিয়ন শাখা আওয়ামীলীগের সভাপতি শাইখুল ইসলাম নয়া প্রমুখ।
আলোচনা সভায় হাতিয়া গণহত্যা দিবস জাতীয়ভাবে পালন করা এবং শহীদদের স্মৃতি সংরক্ষন করার দাবী জানান হয়।
দোয়া পরিচালনা করেন বালাচর নাছিরিয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদরাসার আরবী প্রভাষক মোঃ সিরাজুল ইসলাম।
১৯৭১ সালের ১৩ নভেম্বর পাক- হানাদার বাহিনী, তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার, আল-বদর,আল-সাম্স বাহিনীর সহযোগীতায় আত্ম¡গোপন করা মানুষগুলোকে ধরে নিয়ে এসে দাগারকুঠি গ্রামে সারিবদ্ধ করে নির্দয় ভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়। তাদের নারকীয় হত্যাযজ্ঞ থেকে সেদিন মায়ের কোলের শিশুটিও রক্ষা পায়নি। সারাদিন ব্যাপী চলে হানাদার বাহিনীর হত্যা আর অগ্নিসংযোগ। আগুনে পুড়ে যায় অনন্তপুর,দাগারকুটি,হাতিয়া বকশী, রামখানা, নয়া দারাসহ আশপাশের গ্রামের শতশত ঘর-বাড়ী। মহুর্তে গ্রামগুলো পরিনত হয় ধ্বংস স্তুপে। সেদিন পাক হানাদার বাহিনীর ও তাদের দোসর রাজাকার,আল-বদর, আল-সাম্স বাহিনীর সহযোগীতায় উপজেলা হতে ৮কিঃ মিঃ পুর্বে ব্রক্ষ্রপুত্র নদ বেষ্ঠিত হাতিয়া দাগারকুটি গ্রামের নিরীহ ৬ শত ৯৭ জন গ্রামবাসীকে গুলি করে হত্যা করে।
+ There are no comments
Add yours