প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এ দেশে আদালতে বোমা মেরে বিচারক হত্যা করা হয়েছে, আইনজীবীকেও হত্যা করা হয়েছে। আমিই যে শুধু গ্রেনেড হামলার শিকার হয়েছি তা নয়, আমাদের বিচারকরাও এ থেকে রক্ষা পাননি।
জামায়াত-বিএনপি যখন বিরোধী দলে তখন ঝালকাঠি ও গাজীপুরে এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছিল। তাদের অগ্নিসন্ত্রাস ও বোমাবাজি সম্পর্কে আপনারা জানেন। সেই ঘটনার পর থেকে আমরা বিচারকদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি।
আজ (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ অনুষ্ঠান চলছে।
সরকারপ্রধান বলেন, স্বাধীনতার পরপরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি সংবিধান প্রণয়নের উদ্যোগ নেন। ১৯৭০ সালে নির্বাচিত প্রাদেশিক সদস্য এবং জাতীয় পরিষদের সব সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে তিনি একটি কনস্টিটিউট অ্যাসেম্বল তৈরি করেন। সেখানেই তিনি একটি কমিটি করে দেন সংবিধান প্রণয়নের জন্য। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মাত্র ৯ মাসের মধ্যে আমরা পাই সংবিধান।
তিনি বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী, প্রথমে মোশতাক, তারপর জিয়াউর রহমান নিজেকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘোষণা করে। আমাদের আসতে দেয়নি, এবং আসতে দেবে না। রেহানার পাসপোর্ট টাও রিনিউ করে দেয়নি। আমরা রিফিউজি হিসেবে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলাম। আমার অবর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যখন আমাকে নির্বাচিত করে এবং দেশের জনগণের যখন বিপুল সাড়া পাই, আমি সিদ্ধান্ত নিই যেভাবে হোক আমি দেশে ফিরে আসব। আমার ছেলের বয়স তখন ১০, মেয়ের ৮ বছর। রেহানার তাদের দায়িত্ব নেয়। আমি একাই ফিরে আছি দেশে।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আনিসুল হক, সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভারতের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি মুকেশ কুমার, সাবেক প্রধান বিচারপতি ও আইন কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
+ There are no comments
Add yours