সরকারবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের নামে ‘২৭ দফা রূপরেখা’ দিয়েছে বিএনপি। এই রূপরেখায় স্থান পেয়েছে আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগ সংস্কারের প্রতিশ্রুতি। জাতীয় সরকার গঠনের পাশাপাশি দুই মেয়াদের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না, এমন প্রতিশ্রুতিও রয়েছে।
বিএনপির এসব রূপরেখা ঘোষণার পর বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতারা। তাদের কাছে দলটির রূপরেখা ‘হাস্যকর’ বলে মনে হয়েছে। তারা বলছেন, বিএনপি-জামায়াত রাষ্ট্রকে ধ্বংস করেছে।
এখন আবার তারাই রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের কথা বলছে। এখন দেশের সবকিছুই দারুণভাবে পরিচালিত হচ্ছে। তাই রাষ্ট্রকে আর মেরামতের কিছু নেই। তাদের (বিএনপির) হাতে তো রক্তের দাগ। কাজেই যারা ধ্বংস করে, উল্টো তারা মেরামত করবে কীভাবে? এটা তো নতুন কিছু নয়, এটা তাদের স্টান্টবাজি। তাদের আন্দোলন জমবে না। পাশাপাশি জনগণও বিভ্রান্ত হবে না।
এরই মধ্যে বিএনপির রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখার সমালোচনায় মেতেছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াসহ অনেকেই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বিএনপি রাষ্ট্র মেরামতের জন্য ২৭ দফা দিয়েছে। তারা যেসব ফর্মুলা দিয়েছে তা দেখে আমি খুবই আশ্চর্য হয়েছি। কারণ, তারা পেছনের কথাগুলো ভুলে গেছে। এটা মানুষের কাছে হাস্যাস্পদে পরিণত হয়েছে। বিএনপি দীর্ঘসময় ক্ষমতায় ছিল। জেনারেল জিয়াউর রহমান ক্যান্টনমেন্ট থেকে বিএনপি নামক দলটিকে আবিষ্কার করেছেন।
দীর্ঘ সময় তাদের দুঃশাসন ও অনাচারে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল। বেগম খালেদা জিয়ার বিএনপি-জামায়াতের আমলে রাষ্ট্রকে ধ্বংস করা হয়েছে। সেসময় রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। সেই রাষ্ট্রকে মেরামতের কথা যারা বলছেন, এটা ভূতের মুখে রাম-রাম ছাড়া কিছুই না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কারের কথা বলে তারা যে প্রস্তাবগুলো দিয়েছে, আমি সেটা দেখেছি। ১৩ নম্বর প্রস্তাবে আছে, দুর্নীতির বিষয়ে কোনো আপস করা হবে না। যারা পরপর পাঁচবার দেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছিল, যাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দুর্নীতির দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত, তারা যখন এসব কথা বলে তখন মানুষ হাসে… গাধাও হাসে।
+ There are no comments
Add yours