‘আমার ভাই ছিল গ্রামে, সৎ মা একা পেয়ে কৌশলে আমার ভাতিজিকে খুন করেছে। সৎ মা আগে থেকে সহ্য করতে পারতো না তাকে। কিন্তু এতোটা পাষণ্ড হবে তা কখনো ভাবিনি। আমার আদরের ভাতিজির খুনীর ফাঁসি চাই ‘
গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে পেয়ে এভাবে অভিযোগ করেছেন বুধবার দিবাগত রাতে নগরীতে রহস্যজনক মৃত্যু হওয়া ফটিকছড়ির কিশোরী মারিয়ার জেঠা নাজিরহাট বাজারের ব্যবসায়ী দুলাল।
দুলাল আরো বলেন, ‘মৃত্যুর পর খবরটি পর্যন্ত আমাদের কাছে জানানো হয়নি। আমরা এক ফুফাতো ভাইয়ের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। আমরা গিয়ে দেখি আমার ভাতিজির শরীরের নানা আঘাতের চিহ্ন। কিন্তু সৎ মা দাবী করে, টয়লেটে জ্বিনে হত্যা করেছে। আরেকবার বলে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। আমরা অনেকটা নিশ্চিত আমার ভাতিজিকে সে খুন করেছে’।
মারিয়া (১২) নাজিরহাট পৌরসভাধীন নয় নং ওয়ার্ডের আমলদা তালুকদার বাড়ির( নূর আহম্মদ ইন্জিনিয়ার স্কুল সংলগ্ন) মহিউদ্দিনের প্রথম কন্যা সন্তান। মহিউদ্দিনের প্রথম স্ত্রীর সাথে ডিভোর্স হলে নুসরাত জাহান ইবা (২৭) নামক অপর এক মেয়েকে বিয়ে করেন। নতুন সংসারেও দু’টি পুত্র সন্তান রয়েছে। বিগত চারমাস পূর্বে গ্রাম ছেড়ে মহিউদ্দিন স্ত্রী সন্তান নিয়ে নগরীর হামজারবাগ এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
মারিয়া এবার সপ্তম শ্রেনীতে ভর্তি হওয়ার কথা। বুধবার রাত আটটার দিকে বাসার টয়লেটে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে পাওয়া যায় বলে জানা যায়। পরে নগরীর একটি বেসরকারী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার খবর পেয়ে গ্রাম থেকে ছুঁটে যান নিহতের বাবা ও চাচারা। পরে তারা বিষয়টি পাঁচলাইশ থানাকে অবহিত করলে পুলিশ এসে লাশ সুরতহাল তৈরী করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠায়। নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, পাঁচলাইশ থানা পুলিশ সৎ মা নুসরাত জাহান ইবা (২৭) সহ আরো তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞেসাবাদ করছে। মারিয়ার লাশ গ্রামে নিয়ে আসা হয়েছে। রাত আটটায় স্থানীয় মসজিদ মাঠে জানাজা শেষে দাফন করা হবে।
+ There are no comments
Add yours