ফটিকছড়ির জাফতনগর ইউনিয়নের এক সাবেক চেয়ারম্যানের বসত ঘর থেকে ৫ শত বস্তা লুট হওয়া মুরগির খাদ্য উদ্ধার করেছে পুলিশ।
২২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে জাফতনগর পুলিশ ফাঁড়ির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে লুটকৃত এসব খাদ্য জব্দ করা হয়।
জানা গেছে, রাজধানীর এস এস এন্টারপ্রাইজের নামে ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে মুরগির খাদ্য গুলো কাভার্ড ভ্যানে করে নোয়াখালীর চৌমুহনী যাচ্ছিল।
খাদ্যবাহী ভ্যানটি যথা সময়ে গন্তব্যেস্হলে না পৌছায় ভালুকা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন কোম্পানী ম্যানেজার সাইদুর রহমান রতন।
পুলিশ মোবাইল নাম্বার ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিশ্চিত হয় লুট হওয়া মালগুলোর অবস্থান রাউজানের আশে পাশে রয়েছে । সেই সূত্র ধরে অভিযানে নামে রাউজান থানা পুলিশ।
পরে জাফতনগর পুলিশফাঁড়ির সহায়তায় ২২ ডিসেম্বর দুপুরে ফটিকছড়ির জাফতনগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইলিয়াছ চৌধুরীর বসতঘরের বিভিন্ন কক্ষে অভিযান চালিয়ে ৫শ বস্তা মুরগীর খাদ্য জব্দ করে ।
এ সময় বাড়ির কেয়ারটেকারসহ ২ জনকে আটক করে রাউজান থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে কোম্পানী ম্যানেজার রতন বলেন, ১৯ টন মুরগির খাদ্য নিয়ে ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে একটি কাভার্ড ভ্যান নোয়াখালীর উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। গাড়িটি যথা সময়ে না পৌছায় ভালুকা এবং রাউজান থানায় আলাদা জিডি করি।
বিষয়টি স্বীকার করে জাফতনগর পুলিশ ফাঁডির ইনচার্জ মুহাম্মদ গোলাম ফারুক বলেন মুরগীর খাদ্য গুলো ময়মনসিংহ থেকে নোয়াখালী যাওয়ার কথা ছিল।যথা সময়ে গন্তব্যস্হলে না পৌছায় কোম্পানী থেকে জিডি হয়। জিডির সূত্রধরে রাউজান থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে এর বাইরে আর কিছুই জানিনা।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রাউজান থানার এস.আই নাহিদকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে ইলিয়াস চৌধুরীর ছেলে ইকবালের মন্তব্য জানতে চাইলে বলেন, এ ঘটনায় আমরা জড়িত নই। মূলত আমরা গ্রামের বাড়িতে থাকি না। বাড়িতে থাকেন কেয়ারটেকার। এ বিষয়ে সে ভালো বলতে পারবে।
+ There are no comments
Add yours