করোনা মহামারি এবং ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধসহ বৈশ্বিক পরিস্থিতির প্রভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতি কঠিন সময় পার করছে। সময় কঠিন হলেও নানা কৌশলে দুর্নীতিবাজদের দুর্নীতি থেমে নেই।
অন্যান্য বছরের মতো ২০২২ সালেও দুর্নীতিবাজদের লাগাম টেনে ধরার মতো পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি। বরং ক্ষেত্রবিশেষ উল্টো চিত্র চোখে পড়েছে।
নানা প্রতিকূল পরিবেশ উপেক্ষা করে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান, অনুসন্ধান ও তদন্তে ব্যস্ত সময় পার করতে হয়েছে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক)। ২০২১ সালের তুলনায় চলতি বছর অভিযোগের সংখ্যা প্রায় ৪০ শতাংশ বাড়লেও দায়ের করা মামলা ও চার্জশিটের হার কমেছে। আসামির তালিকায় নেই আলোচিত বড় কোনো দুর্নীতিবাজের নাম।
২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত দুদকে অভিযোগ জমা পড়েছে প্রায় ১৭ হাজার। আলোচিত সময়ে অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে ৩৫৪টি বিষয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ৩১২টি অভিযোগের পরিসমাপ্তি হয়েছে। অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পাওয়ায় দুদক সম্পদের নোটিশ জারি করেছে ৮৯টি। অভিযোগ অনুসন্ধান শেষে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় ২৭৬টি মামলা দায়ের করতে সক্ষম হয়েছে কমিশন। পাশাপাশি ১৬২টি মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৭৮টি মামলা থেকে আসামিদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত দুদকে অভিযোগ জমা পড়েছিল প্রায় সাড়ে ১২ হাজার। গত বছরের তুলনায় চলতি বছর এর হার প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়েছে।
ওই সময়ে (২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত) ৩২৬টি অভিযোগের অনুসন্ধান করে দুদক। ২৪৪টি অভিযোগের পরিসমাপ্তি বা নথিভুক্তি (অভিযোগ থেকে অব্যাহতি) হয়। অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পাওয়ায় দুদক সম্পদের নোটিশ জারি করে ১৯৩টি। অভিযোগের অনুসন্ধান শেষে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় ৩১১টি মামলা দায়ের করতে সক্ষম হয় কমিশন। পাশাপাশি ২২২টি মামলার চার্জশিটও দেওয়া হয়। অন্যদিকে, ৮০টি এফআরটি’র (মামলা থেকে অব্যাহতি) ঘটনা ঘটে।
+ There are no comments
Add yours