শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন। শেষ হয়েছে সম্মেলনের সার্বিক প্রস্তুতি।
দলের নেতাকর্মীসহ দেশবাসী এখন সম্মেলনের সেই মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষায়। তবে সময় যতই ঘনিয়ে আসছে দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ততই বাড়ছে।
দলের সভাপতি শেখ হাসিনা নিশ্চিত হলেও সাধারণ সম্পাদক কে হচ্ছেন, ঘুরেফিরে সামনে আসছে সেই প্রশ্ন। বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তৃতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক হচ্ছেন, এমন গুঞ্জনই চারদিকে।
আওয়ামী লীগের একাধিক সিনিয়র নেতাও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের হ্যাট্রিকের বিষয়টি নিয়ে অগোচরে কথা বলছেন। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, ড. হাছান মাহমুদ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনায় আছেন।
দলের গুরুত্বপূর্ণ এ পদ নিয়ে সভাপতির দিকেই চেয়ে আছেন সবাই।
দলীয় সূত্র মতে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে। ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে ক্ষমতাসীন দলটি নিয়মিতভাবে চারটি জাতীয় কাউন্সিল করেছে। এতে কেন্দ্রীয় রাজনীতি সুসংগঠিত হয়েছে, বেড়েছে নেতৃত্বের বলয়। দীর্ঘ ৭৩ বছরের রাজনৈতিক দলটির প্রতি সমর্থকদের পাশাপাশি বেড়েছে দলের নেতাকর্মীদের ভালোবাসা। দুর্দিনে দলের পাশে থাকতে প্রস্তুত এমন নেতাকর্মীর সংখ্যাও এখন কম নয়। শনিবার অনুষ্ঠিত হবে দলটির ২২তম জাতীয় কাউন্সিল। টানা এক যুগেরও বেশি সময় ক্ষমতায় থাকলেও অতীতে দলটির নতুন নেতৃত্বে দুর্দিনের অনেক নেতার ঠাঁই হয়নি বলে একটা ‘অনুচ্চারিত’ অভিযোগ আছে। গত চার সম্মেলনে কেন্দ্রীয় কমিটির ৩১২ পদের মধ্যে মাত্র ২৪.৬৭ শতাংশ ছিল নতুন মুখ। কমিটিগুলোতে বেশি হয়েছে পদের রদবদল। অর্থাৎ ঘুরেফিরে একই ব্যক্তিরা পদ-পদবি বাগিয়ে নিয়েছেন। দেখা গেছে, ২১.১৫ শতাংশ নেতার পদ পরিবর্তন হলেও তারা কমিটিতে থেকে গেছেন। আগের কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে এমন নেতার সংখ্যা খুব কম। অংকের হিসাবে সেটি কেবল ১৯.২৩ শতাংশ।
সূত্র মতে, ৮১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির আকার এবারও ঠিক থাকবে। তবে নতুন কমিটিতে অনেক রদবদল হবে। সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য থেকে উপদেষ্টা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক থেকে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, সাংগঠনিক সম্পাদক থেকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সম্পাদকমণ্ডলীর ও কার্যনির্বাহী সদস্য থেকেও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রদবদল করা হতে পারে। এবার বেশ কয়েকটি পদে নতুন মুখ আসছে বলে সূত্রটি জানিয়েছেন।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সামগ্রিক প্রস্তুতি প্রায় শেষের পথে। খাবার পানি, তিনটি মেডিকেল ক্যাম্প ও জরুরি সেবার জন্য অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সামগ্রিক শৃঙ্খলার দায়িত্বে কাজ করছে স্বেচ্ছাসেবক লীগ।
+ There are no comments
Add yours