গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও জনগণের নায্য অধিকার আদায়সহ ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষে জয়পুরহাটে গণমিছিল করেছে জামায়াতে ইসলামীর জয়পুরহাট জেলা শাখা।
আজ (২৪ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে সদর উপজেলার সগুনা এলাকা থেকে মিছিলটি বের হয়। মিছিলটি হিচমি-পুরানাপৈল বাসপাস সড়কের সগুনা প্রধান সড়কে উঠলে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
এ সময় গোয়েন্দা পুলিশ ধাওয়া দিয়ে ১২ জন জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীকে আটক করে। গোয়েন্দা পুলিশ ৬ রাউন্ড গুলি ছুড়ে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের সেখান থেকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
আটকৃতরা হলেন- সদরের কাশিড়াবাড়ি এলাকার বাসিন্দা জামায়াত ইসলামীর সদস্য শহিদুল ইসলাম (৫৫), হাটুভাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা জামায়েত ইসলামী সদর উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি শাহ আলম দেওয়ান (৪৫), শহরের প্রফেসরপাড়া মহল্লার আমিনুল ইসলাম (৫০), শিবিরকর্মী ১০ শ্রেণির ১৬ বছর বয়সী একজন ছাত্র, মিটনা গ্রামের বাসিন্দা ও জামায়াতের সদস্য নাহিদুল ইসলাম (৩০), পাঁচবিবির জাম্বুবান এলাকার বাসিন্দা ও জেলা ছাত্র শিবিরের সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ (২৭), ওই এলাকার বাসিন্দা শিবিরের সদস্য সোহরাব হোসেন (২২), কড়ই এলাকার বাসিন্দা ছাত্র শিবিরের জেলা সভাপতি আসাদুল ইসলাম (২৮), পাঁচবিবির লকনাহার গ্রামের মেশকাত শরীফ (২৩), সদরের ঘোনাপাড়া এলাকার বাসিন্দা শিবির কর্মী মেহেদি হাসান (২০), সদরের শ্যামপুর এলাকার মো. শিপন (২৬) এবং মো. নূরনবী (২৪)।
জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ নুরে আলম বিষয়ট নিশ্চিত করে বলেন, সকালে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে নাশকতার চেষ্টা করছিলেন। এ সময় পুলিশ সেখানে গেলে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। পুলিশ ছয় রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে সেখান থেকে জামায়াত-শিবিরের ১২ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে।
+ There are no comments
Add yours