যানজটে নাকাল রাজধানী ঢাকায় চালু হওয়া প্রথম মেট্রোরেল ঢাকাবাসীর মাঝে আনন্দের উপলক্ষ্য তৈরি করেছে।
আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহুল আকাঙ্ক্ষিত মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেছেন। বাংলাদেশের উন্নয়নের অন্যতম মাইলফলক এই মেট্রোরেলের উদ্বোধন নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রভাবশালী গণমাধ্যমে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে খবর প্রকাশ করা হয়েছে।
‘যানজটে-জর্জরিত রাজধানী ঢাকায় প্রথম মেট্রো লাইন চালু করল বাংলাদেশ’ শিরোনামে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি।
স্থানীয় গবেষকরা বলছেন, যানজটের কারণে প্রতিবছর ৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি কাজের সময় ঢাকার রাস্তায় হারিয়ে যায়। আর প্রায়ই রাস্তায় দেখা দেওয়া বিক্ষোভ-প্রতিবাদ এবং বর্ষা মৌসুমের বৃষ্টি সেই পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তোলে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গও ঢাকার মেট্রোরেল উদ্বোধন নিয়ে একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বুধবার। এই প্রতিবেদনের শিরোনাম করা হয়েছে ‘প্রথম মেট্রোরেল পেল বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল শহরগুলোর একটি।’
বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনের তথ্য উল্লেখ করে ব্লুমবার্গ লিখেছে, ‘৩০৫ বর্গ কিলোমিটারের শহর ঢাকায় ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষের বসবাস। ১০ বছর আগে ঢাকায় যানবাহনের গতি ছিল ঘণ্টায় ২১ কিলোমিটার। সেখান থেকে তা কমে হয়েছে ৭ কিলোমিটার। কমতে কমতে এটি ৪ কিলোমিটারে নেমে যেতে পারে। যা হাঁটার চেয়েও ধীরগতি।’
ঢাকার মেট্রোরেল নিয়ে বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়ার সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ মার্টিন রমা বলেছেন, ‘ঢাকার মতো শহরের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এক উন্নয়ন। আপনি যদি ভারতের বিভিন্ন শহরের দিকে তাকান দেখবেন মানুষের কাজে যাওয়ার যোগাযোগ পথে অনেক পরিবর্তন এসেছে। মেট্রোরেল যোগাযোগের নিরাপদ একটি বাহন। বিশেষ করে নারীদের জন্য। দক্ষিণ এশিয়ায় যা গতানুগতিক নয়।’
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার ‘যানজট থেকে মুক্তি, ঢাকায় শুরু মেট্রো পরিষেবা, সবুজ পতাকা নেড়ে উদ্বোধন শেখ হাসিনার’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, ঢাকায় শুরু হয়ে গেল মেট্রোরেল পরিষেবা। সবুজ পতাকা নাড়িয়ে পরিষেবার সূচনা করলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বোনকে নিয়ে নিজে টিকিট কেটে চেপে বসলেন ট্রেনেও।
এছাড়া বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেল উদ্বোধনের খবর প্রকাশ করেছে সিঙ্গাপুরের ইংরেজি দৈনিক দ্য স্ট্রেইটস টাইমস, ভারতের বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড, পাকিস্তানের উর্দু পয়েন্টসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গণমাধ্যম।
+ There are no comments
Add yours