মক্কায় ঘুমন্ত অবস্থায় স্ট্রোক করে যুবকের মৃত্যু

Estimated read time 1 min read
Ad1

বাবাহীন সংসারে হাল ধরতে নাজিরহাট বাজারের একটি মুদির দোকানে দীর্ঘদিন চাকরি করেছেন। ছোটভাইকে ওমানে পাঠিয়েছেন। নিজে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ধার -দেনা করে মাত্র ছয় মাস পূর্বে পাড়ি জমিয়েছিলেন মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরবে। ফ্রী ভিসায় গিয়ে শুরুতে কর্মহীন ছিলেন। কোন রকমে একটি গ্যারেজে চাকরি করেছেন।

কিন্তু সেখানে তিন মাসেরও বেশি সময় চাকরি করেও কোন বেতন মেলেনি। গত দেড়মাস পূর্বে এলাকার এক প্রতিবেশির সুপারিশে মক্কায় হেরাম শরীফের পাশে জিহাদ রোড়ের মাতাম বোখারী নামক একটি আফগানী হোটেলের রেষ্টুরেন্ট সেক্টরে চাকরি হয়। সেখানে প্রথম মাসের বেতনও মিলে। বুধবার রাতে ডিউটি শেষ করে হোটেলের দেয়া স্টাফদের কক্ষে ঘুমাতে আসেন।

প্রতিদিনকার ন্যায় ঘুমাতে গেলেও, প্রতিদিনকার ন্যায় আর ঘুম থেকে উঠা হয়নি তার। চিরতরের জন্যই ঘুমিয়েছিলেন তিনি। সকালের অনেকটা সময় পার হয়ে গেলেও তার সাড়াশব্দ না পেয়ে রুমমেটরা দেখতে পান নিথর দেহটা পড়ে আছে। হোটেল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ সুরতহাল তৈরী করে। ওই হতভাগা যুবকের নাম মোহাম্মদ জাহেদ(৩০)।

তিনি ফটিকছড়ি উপজেলার নাজিরহাট পৌরসভাধীন বাবুনগর গ্রামের আদর্শবাড়ির মৃত আমির হোসেনের প্রথম পুত্র। মক্কা থেকে সাকিল নামক তার এক প্রতিবেশি বলেন, ‘মৃত্যুর খবর পেয়ে সেখানে গেছি। লাশ পড়ে আছে বিছনায়। মনে হচ্ছে ঘুমের মধ্যে স্ট্রোক করেছেন। পু্লিশের সাথেও কথা বলেছি। পরিবার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী লাশ দেশে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’ তারেক নামক তার প্রতিবেশি ভাতিজা বলেন, ‘জাহেদ আঙ্কেল সর্বশেষ গতকাল বিকালে মায়ের সাথে ফোনে কথা বলেছেন।

ধার-দেনা করে বিদেশে যাওয়ার পর চাকরি করেও বেতন না পাওয়াতে টেনশনে ভোগতেন। কিন্তু সর্বশেষ চাকরিটা পেয়ে খুশিতে ছিলেন, এমনকি প্রথম মাসের বেতন পেয়ে বাড়িতে টাকা পাঠিয়েছেন। বাবুনগর মাদ্রাসার বার্ষিক মাহফিলের জন্য চাঁদাও পাঠিয়েছেন বেতন পেয়ে। ‘ এলাকার সবচেয়ে শান্তশিষ্ট, মিষ্টভাষী যুবকের এই অল্প বয়সে চলে যাওয়া কোনভাবে মেনে নিতে পারছেন না এলাকাবাসী, বন্ধু মহল। তার মৃত্যুতে পুরো বাবুনগর, ইমামনগর গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours