দেশবাসীকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী

Estimated read time 1 min read
Ad1

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খ্রিষ্টীয় নতুন বছর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আজ (৩১ ডিসেম্বর) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর বাণী প্রকাশ করে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)।

নববর্ষ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ শুভেচ্ছা জানান। বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন বছরে মানুষে-মানুষে সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরো জোরদার হোক, সব সংকট দূরীভূত হোক, সব সংকীর্ণতা পরাভূত হোক এবং সবার জীবনে আসুক অনাবিল সুখ ও শান্তি।

বাণীতে শেখ হাসিনা বলেন, ‘খ্রিষ্টীয় নতুন বছর ২০২৩ উপলক্ষে আমি দেশবাসী এবং প্রবাসী বাঙালিসহ বিশ্ববাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। প্রকৃতির নিয়মেই নতুন বছর মানুষের মনে নতুন আশার সঞ্চার করে এবং নব উদ্যমে সুন্দর আগামীর পথচলায় অনুপ্রেরণা যোগায়।’

দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারে থাকলেই দেশের উন্নয়ন হয় এবং জনগণের কল্যাণ হয়। কারণ একমাত্র আওয়ামী লীগই স্বাধীনতার সুমহান আদর্শকে ধারণ করে নিবেদিতপ্রাণ হয়ে দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করে। আসুন আমরা দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে আত্মনিয়োগ করি এবং ধর্মীয় উগ্রবাদসহ সন্ত্রাসবাদ ও স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে প্রতিহত করে, অসাম্প্রদায়িক চেতনার ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়ে তুলি ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়া দেশগুলো ২০২২ সালে বছরব্যাপী বিভিন্ন আয়োজনের মাধ্যমে কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শূন্যহাতে সদ্য স্বাধীন দেশকে যুদ্ধের ধ্বংসাবশেষ থেকে টেনে তুলেছিলেন। তখন ব্যাংকে কোনো রিজার্ভ মানি ছিল না, কোনো কারেন্সি নোট ছিল না। অবজ্ঞা করে কেউ কেউ বলতো তলাবিহীনঝুড়ি। সেই অবস্থা থেকে মাত্র সাড়ে তিন বছরেই তিনি বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশে উন্নীত করেন এবং জাতিসংঘের স্বীকৃতি অর্জন করেন।’

তিনি বলেন, ২৬ নভেম্বর দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম চট্টগ্রামে কর্ণফুলি নদীর তলদেশে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’-এর দক্ষিণ টিউবের পূর্ত কাজ সম্পন্ন করেছি। ৭ নভেম্বর দেশের ২৫টি জেলায় ১০০টি সেতু নির্মাণ করে উদ্বোধন করেছি। ১৯ অক্টোবর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউনিট-২ এর রিঅ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল স্থাপন করেছি। ২১ মার্চ পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র (১ম পর্যায়) উদ্বোধন করেছি। আমাদের অন্যান্য মেগা ও মাঝারিসহ সব অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কাজও পুরোদমে এগিয়ে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, আমরা ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট’ বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার লক্ষ্যে দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছি। আমরা ‘বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০’ বাস্তবায়ন শুরু করেছি।

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours