ব্যাপক অনিয়মে বন্ধ হওয়া গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন ৭৮ হাজার ২৮৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
তার নিকটতম প্রার্থী জাতীয় পার্টির (জাপা) গোলাম শহীদ রনজু ভোট পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৭৫২ ভোট।
আজ (৪ জানুয়ারি) রাত সাড়ে আটটার দিকে দুই উপজেলার ১৪৫ কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফল পাওয়ার পর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম।
বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর তৎপরতায় ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। ১৪৫টি কেন্দ্রের মধ্যে কয়েকটি ছাড়া নির্ধারিত সময় সাড়ে ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। নির্বাচন চলাকালে কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
ভোটগ্রহণ শেষে স্ব স্ব কেন্দ্রেই ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এরপর সব কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয় দুই উপজেলা পরিষদের ফলাফল ঘোষণা কেন্দ্র থেকে।
১৪৫টি কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৩৫ শতাংশ। গাইবান্ধা-৫ আসনটি ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা নিয়ে গঠিত। এ দুই উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নে মোট ভোটার ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৪ জন।
নির্বাচনে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মাঠে সক্রিয় ছিলেন আওয়ামী লীগের মাহমুদ হাসান রিপন (নৌকা) ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী (জাপা) এএইচএম গোলাম শহিদ রঞ্জু (লাঙ্গল)।
ভোটের মাঠে প্রচারণায় দেখা যায়নি বিকল্পধারা বাংলাদেশের জাহাঙ্গীর আলম (কুলা) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহবুবুর রহমানকে (ট্রাক)।
এছাড়া গত ২৫ ডিসেম্বর অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ (আপেল) গত ২৫ ডিসেম্বর বগুড়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে ভোট কারচুপির আশঙ্কায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
+ There are no comments
Add yours