আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপির দলীয় নির্দেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগকারী উকিল আবদুস সাত্তার বিএনপি থেকে বের হয়ে সেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে উপনির্বাচনে অংশ নেওয়ায় এটিই প্রমাণিত হচ্ছে যে, বিএনপির সম্মুখসারির অনেক নেতাই নির্বাচনমুখী, তারা নির্বাচন করতে চান।’
‘এটি আরও ইঙ্গিত দেয় যে বিএনপি যদি ভবিষ্যতে নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়ও তাদের নেতারা ঠিকই নির্বাচনে অংশ নেবেন। নির্বাচনে অংশ নেওয়া থেকে তাদের নেতাদের ঠেকানো যাবে না। নির্বাচনে তারা অংশ নেবেনই।’
আজ (৬ জানুয়ারি) রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির সিদ্ধান্ত আসে সমুদ্রের ওপার থেকে। বাংলাদেশের বাস্তবতা ও পরিস্থিতি সম্পর্কে তাদের সেই নেতার কোনো ধারণা নেই। তিনি ১৫-১৬ বছর ধরে দেশের বাইরে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, সংসদ থেকে বিএনপির ছয় সংসদ সদস্যের পদত্যাগ দলটির প্রচন্ড অদূরদর্শী একটি সিদ্ধান্ত ছিল।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সরকার গঠন করেছে, দেশ পরিচালনা করছে। জনগণ যতদিন চাইবে, ততদিনই আমরা দেশ পরিচালনা করব। জনগণ না চাইলে একদিনও দেশ পরিচালনা করব না। বিএনপিই সবসময় পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়।’
এর আগে সরকারের চার বছর পূর্তি উপলক্ষে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘২০২২ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিকে দুটি তিলক পরিয়ে দিয়েছেন। একটি হচ্ছে পদ্মা সেতু চালু হওয়া, আরেকটি স্বপ্নের মেট্রোরেলের যাত্রা শুরু। এতে দেশের প্রতিটি মানুষ উদ্বেলিত।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি আর তার মিত্রদের নেতিবাচক ও গুজব ছড়ানোর রাজনীতি না থাকলে দেশ আরও অনেক দূর এগিয়ে যেত।’
বিএনপিকে নেতিবাচক রাজনীতির জন্য অভিযুক্ত করে ড. হাছান বলেন, ‘পদ্মা সেতুতে মানুষের নরবলি দিতে হবে- এরকম গুজবও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। বিশ্বের ১৩২টি দেশ যখন করোনা টিকা শুরু করতে পারেনি, আমাদের দেশে তখন শেখ হাসিনা করোনার টিকা দেয়া শুরু করেছিলেন। তখনো বিএনপি ও তাদের মিত্রদের পক্ষ থেকে নানা বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছিল, পরে তারাই আবার কেউ প্রকাশ্যে, কেউ গোপনে টিকা নিয়েছিল।’
+ There are no comments
Add yours