বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ এখন বাংলাদেশ

Estimated read time 1 min read
Ad1

কানাডিয়ান অনলাইন প্রকাশনা ‘ভিজ্যুয়াল ক্যাপিটালিস্ট’-এর ‘দ্য টপ হেভি গ্লোবাল ইকোনমি’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন অনুসারে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতি।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে এই তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার মাত্র দুটি দেশ বাংলাদেশ ও ভারত ৫০টি বৃহত্তম অর্থনীতির অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।

আইএমএফের পরিসংখ্যান উদ্ধৃত করে, ‘ভিজ্যুয়াল ক্যাপিটালিস্ট’ ২৯ ডিসেম্বর এই তথ্য জানিয়েছে। দেশগুলোকে মোট দেশীয় উৎপাদনের (জিডিপি) ভিত্তিতে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে সূত্রে জানা গেছে, ৪৬০.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার জিডিপি নিয়ে ২০২২ সালে বাংলাদেশ বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। এর আগে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৪১তম। প্রতিবেশী দেশ ভারত বিশ্ব অর্থনীতিতে পঞ্চম স্থানে চলে গেছে। এর আগে এটি ছিল ষষ্ঠ অবস্থানে।

২০২২ সালে ভারত ৩.৪৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার জিডিপি নিয়ে যুক্তরাজ্যকে (ইউকে) ছাড়িয়ে পঞ্চম স্থান দখল করেছে।

তালিকায় প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছে যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান ও জার্মানি। বিশ্বের ১০টি বৃহত্তম অর্থনীতির বাকি পাঁচটি দেশ যথাক্রমে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, কানাডা, রাশিয়া ও ইতালি।

বৃহত্তম জিডিপির দেশ

বিশ্ব অর্থনীতির আকার এই যে ১০০ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়াল, তাতে ছোট-বড় সব দেশের জিডিপির হিসাব যুক্ত হয়েছে। তবে এর বড় অংশজুড়ে আছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান, জার্মানি ও ভারত। বিশ্বের মোট জিডিপির অর্ধেকই এ কয়েকটি দেশের। আরও পাঁচটি দেশকে যদি এর সঙ্গে যুক্ত করা যায়, তবে ১০ দেশের মিলিত জিডিপি হয় বৈশ্বিক জিডিপির ৬৬ শতাংশ। আর বিশ্বের ২৫টি দেশ বৈশ্বিক জিডিপির ৮৪ ভাগের অংশীদার।

ছোট জিডিপির দেশগুলো

বিশ্বের বাকি ১৬৭টি দেশের জিডিপির পরিমাণ কিন্তু খুবই কম, মাত্র ১৬ শতাংশ। নিম্ন জিডিপির দেশগুলোর বেশির ভাগই ওশেনিয়া অঞ্চলের দ্বীপদেশ।

মোট ১৯১টি দেশ নিয়ে তৈরি আইএমএফের এই তালিকায় সর্বশেষ নামটি হচ্ছে টুভালু। ৬৬ মিলিয়ন ডলার জিডিপি নিয়ে দেশটির ১৯১তম অবস্থানে রয়েছে।

বাংলাদেশের অবস্থান প্রতিবেদনে দেখা যায়, বৈশ্বিক জিডিপির তালিকা অনুযায়ী বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থান ৩৫তম। বাংলাদেশের জিডিপির আকার এ সময় ছিল ৪৬০ বিলিয়ন ডলার বা ৪৬ হাজার কোটি ডলার। বাংলাদেশের ঠিক আগেই রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিসর ও অস্ট্রিয়ার মতো দেশ। আর ঠিক পরেই আছে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ভিয়েতনাম।

নতুন বছরে বৈশ্বিক অর্থনীতি

অর্থনীতির এক ঘোর অনিশ্চয়তা নিয়ে শুরু হয়েছে ২০২৩ সাল। করোনা মহামারি, এরপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, মূল্যস্ফীতিতে নাকাল বিভিন্ন দেশের মানুষ। অনেক বিশেষজ্ঞ স্বল্প আকারে মন্দা সৃষ্টি হওয়ার কথা বলছেন। তবে এটা স্বল্প না দীর্ঘস্থায়ী হবে, তা নিয়ে বিতর্ক আছে। এরই মধ্যে আইএমএফ বলেছে, বিশ্বের অন্তত এক-তৃতীয়াংশ দেশ মন্দার কবলে পড়বে। অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন, অর্থনীতির নিম্নগামী প্রবণতাকে রুখতে পারবে চীন। এই ধারণা যদি ঠিক হয়, তবে বিশ্ব জিডিপির হিস্যায় দেশটির অংশ বাড়বে আরও।

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours