চট্রগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা ভুজপুর থানার দাঁতমারা ইউনিয়নের হেয়াকো এলাকার অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে নিয়ে লাপাত্তা হওয়া তিন টিকটকার যুবককে আটক করেছে র্যাব। এসময় অপহৃত ১২ বছর বয়সী ওই কিশোরীকেও উদ্ধার করা হয়।
রোববার (৮ জানুয়ারি) দুপুর পৌনে ২টার দিকে নগরীর পতেঙ্গার পূর্ব কাঠঘর এলাকার একটি ভাড়াঘরে থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে তিন যুবককে আটক করে র্যাব-৭।
আটক তিনজন হলেন, সুনামগঞ্জ জেলার পাইকপাড়ার ইব্রাহীম আলীর পুত্র রুয়েল আহমেদ (২১), নেত্রকোনা জেলার মদন থানার মোঃ শাহজাহানের পুত্র মোঃ অনিক (২০) ও সিলেট জেলার বিশ্বনাথ থানার মোঃ মোকাদ্দেস মিয়ার পুত্র মোঃ ইমন মিয়া (১৮)। তারা তিনজনই পতেঙ্গা পূর্ব কাঠগড়ের অস্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে ভাড়া ঘরে বসবাস করতো।
সোমবার র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) মো. নুরুল আবছার এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, অপহৃত ১২ বছর বয়সী কিশোরী ফটিকছড়ি ভূজপুর থানাধীন একটি স্কুলে ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া একজন ছাত্রী। প্রায় ৮ মাস পূর্বে আসামি রুয়েল আহমেদের সাথে টিকটকের মাধ্যমে কিশোরীর পরিচয় হয়।
পরিচয়ের সূত্র ধরে রুয়েল আহমেদ বিভিন্ন সময় ওই কিশোরীকে মোবাইলের মাধ্যমে উত্যক্ত করত এবং প্রেমের প্রস্তাব দিত। গত ৪ জানুয়ারি সকালে মেয়েটি স্কুলে যাওয়ার পথে ভূজপুরের হেয়াকো এলাকা হতে আসামি রুয়েল আহমেদ তার অপর দুই সহযোগীসহ কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে, ফুঁসলিয়ে জোরপূর্বক অপহরণ করে সিএনজি করে নগরীর পতেঙ্গার পূর্ব কাঠঘর এলাকায় অনিকের ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়।
নুরুল আবছার আরও জানান, পরবর্তীতে কিশোরীকে স্কুল থেকে সময়মত বাড়ি ফিরে না আসায় তার মা-বাবা তাদের আত্মীয়-স্বজন সহ আশপাশের প্রতিবেশীর বাসায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। সারাদিন খোঁজাখুঁজি করে কোথাও না পেয়ে ভূজপুর থানাধীন দাঁতমারা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে একটি জিডি করেন এবং বিষয়টি র্যাব-৭-কে অবহিত করেন।
পরে রোববার র্যাব গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পতেঙ্গার পূর্ব কাঠঘর এলাকার একটি ভাড়াঘর থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে এবং ঘটনার সাথে জড়িত তিন আসামিকে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা অপহরণের সাথে জড়িত থাকার সত্যতা স্বীকার করে। পরে তাদেরকে সংশিষ্ট আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভূজপুর থানায় হস্তান্তর করা হয় বলে জানান এ কর্মকর্তা।
+ There are no comments
Add yours