এস. এম. তারেক, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি :
চলতি মাসের ১৪ নভেম্বর অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত ও ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কক্সবাজার সদর উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফুর রহমান আজাদ প্রকাশ- লুতুর উপর হামলাকারীদের বিচারের দাবীতে ২১ নভেম্বর বিকেল ৪ টা’য় ঈদগাঁও’র বাঁশঘাটায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়।
ইসলামাবাদ ইউনিয়ন আ’লীগ সহসভাপতি নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং ইসলামাবাদ ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক দিদারুল ইসলাম এমইউপির সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আবু তালেব , যুবলীগ নেতা হুমায়ুন কবির হিমু, সদর উপজেলা স্বেচ্চাসেবকলীগ সভাপতি এবং কক্সবাজার নারী ও নির্যাতন ট্রাইবুন্যালের স্পেশাল পিপি এড. একরামুল হুদা, সদর আ’লীগ যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম আমির, ঈদগাঁও ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান সোহেল জাহান চৌধুরী, সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজিত সতন্ত্র প্রার্থী সেলিম আকবর, জালালাবাদ ইউপি আ’লীগ সভাপতি সেলিম মোর্শেদ ফরাজী, ইসলামাবাদ ইউপি আ’লীগ সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম এমইউপি, ইসলামাবাদের সাবেক ইউপি সদস্য বশির আহমদ, ব্যবসায়ী গফুর আলম এবং আহত লুতুর ছোট ভাই ও ইসলামাবাদ ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি নাছির উদ্দিন জয়।
উপস্থিত ছিলেন ঈদগাঁও ইউনিয়ন আ’লীগ সাধারন সম্পাদক তারেক আজিজ, সদর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আমির, ঈদগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি এনাম রনি, ঈদগাঁও সাংগঠনিক উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নওশাদ মাহমুদ, শ্রমিকলীগ নেতা আবুবক্কর ছিদ্দিক বান্ডি, ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ারুল আজম খোকন, আবু হেনা বিশাদ, ইরফানুল করিম, কাজী আবদুল্লাহসহ আ’লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। সভায় বক্তরা ঘৃণ্য এ হামলার তীব্র নিন্দা জানান।
এছাড়া কার ইন্ধনে আটক রোহিঙ্গা নাগরিক বশিরের ছেলে মোস্তফা লুৎফুর রহমানের উপর হামলা করেছে ওইসব ইন্ধন দাতাদেরও ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে খুঁজে বের করে আইনের এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি নিশ্চিতকরনের দাবী জানান। এদিকে প্রতিবাদ সমাবেশের আগে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ ও আ’লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বাঁশঘাটা সড়কের দুপার্শ্বে সারিবদ্ধভা দাঁড়িয়ে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেন। এসময় প্রতিবাদকারীরা লুতুর উপর হামলায় ইন্ধনদাতাদের আটক করে আইনের আওতায় আনা এবং ইন্ধনদাতাদের বিচারের দাবী সম্বলিত ব্যানার ফেস্টুন বহন করে।
উল্লেখ্য, গত ১৪ নভেম্বর রাতে ইসলামাবাদ ইউনিয়নের হরিপুরে হিন্দু সম্প্রদায়ের কালি পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে লুতু হরিপুর দোকানের সামনে স্থানীয় রাজনৈতিক ও পূজাকমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলছিলেন। ওই সময় পিছন দিকে থেকে রাম দা নিয়ে এক যুবক মোস্তফা নামক এক যুবক আচমকা এলোপাতাড়ি কুপাতে কুপাতে সামনে থাকা লুতুর দিকে এগিয়ে আসতে থাকে। কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই লুতুর সামনে থাকা সঞ্জয়,সরওয়ার’সহ ৪/৫ জন দায়ের কুপে তখন মারাত্মকভাবে জখম হয়ে মাটিতে পড়ে যায়।
একপর্যায়ে লুতু ওই সন্ত্রাসীকে থামাতে সামনে এগিয়ে গেলে হত্যার উদ্দেশে ওই সন্ত্রাসী লুতুকেও এলোপাতাড়ি কুপাতে শুরু করে। নৃশংস এ সন্ত্রাসী হামলায় লুতুর রক্তাক্ত অবস্থা দেখে উপস্থিত স্থানীয় নেতাকর্মীরা পিছন দিক থেকে হামলাকারীকে ধরে ফেলে এবং গনধোলাই দেয়। লুতুর পারিবারিক সূত্র জানায়, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আহত লুতু সদর উপজেলাধীন ইসলামবাদ ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের প্রস্ততি নিচ্ছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় ওই ইউনিয়নে বেশ ক’দিন ধরে তিনি ব্যাপকভাবে গনসংযোগ চালিয়ে আসছিলেন।
এতে তার জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বিত হয়ে এলাকার একটি প্রভাবশালী চক্র ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে লুতুর উপর ন্যাক্কারজনক এ হামলা চালায় বলে দাবী লুতুর ছোট ভাই ও ইসলামাবাদ ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি নাছির উদ্দিন জয়ের।
+ There are no comments
Add yours