অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জগুলোতে দিনে ৭৫০ কোটি টাকার লেনদেন

Estimated read time 1 min read
Ad1

সাত শতাধিক মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠান ছিল বাংলাদেশে। তবে নানা অনিয়ম ও কারসাজির অভিযোগে অনেক প্রতিষ্ঠান হারিয়েছে বৈধতা।

বর্তমানে বাংলাদেশে বৈধ মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠান রয়েছে ২৩৫টি। সেগুলোর লেনদেনের তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংক জানতে পারলেও নিয়ন্ত্রণহীন এক হাজার অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠান।

অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জগুলোর নেপথ্যে রয়েছে অনেক রাঘববোয়াল। বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জগুলোর তালিকা পাওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে অভিযান নেমেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

অভিযানে নামার পর সিআইডির কর্মকর্তারা বলছেন, অবৈধ এসব মানি এক্সচেঞ্জের পেছনে রয়েছে রাজনীতিক, সামাজিক ও অর্থনীতিক প্রভাবশালী অনেক রাঘব বোয়াল। চুনোপুটি ধরে ধীরে ধীরে তাদের বিরুদ্ধে লিগ্যাল অ্যাকশনে যেতে চায় অপরাধ তদন্ত সংস্থাটি।

দেশে ডলার সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার রাজধানীর পাঁচ স্থানে একযোগে অভিযান চালায় সিআইডি। এর মধ্যে তিনটি অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জ অফিস হচ্ছে- গুলশানের জেএমসিএইচ প্রাইভেট লিমিটেড, মোহাম্মদপুরের টোকিও স্কয়ারের আলম অ্যান্ড ব্রাদার্স এবং উত্তরার আশকোনা মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের তৈমুর মানি এক্সচেঞ্জ। বাকি দুটি ফেরারি প্রতিষ্ঠান। এ অভিযানে প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে ১৪ জনকে গ্রেপ্তারসহ এক কোটি ১১ লাখ ১৯ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।

যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা হলেন- আবু তালহা ওরফে তাহারত ইসলাম তোহা (৩২), আছাদুল শেখ (৩২), হাছান মোল্যা (১৯), আব্দুল কুদ্দুস (২৪), হাসনাত এ চৌধুরী (৪৬), শামসুল হুদা চৌধুরী ওরফে রিপন (৪০), সুমন মিয়া (৩০), তপন কুমার দাস (৪৫), আব্দুল কুদ্দুস (৩২), কামরুজ্জামান রাসেল (৩৭), মনিরুজ্জামান (৪০), নেওয়াজ বিশ্বাস, আবুল হাসনাত (৪০) ও শাহজাহান সরকার (৪৫)।

তিনি বলেন, সে হিসেবে সারা বাংলাদেশের অবৈধ সব প্রতিষ্ঠানে লেনদেনে গড় ৭৫ লাখ টাকা ধরলে দিনে আনুমানিক ৭৫০ কোটি টাকার অবৈধ লেনদেন হয়। যেখানে বাংলাদেশ সরকার কোনো প্রফিট পায় না। বাংলাদেশ ব্যাংকেও থাকে না সঠিক তথ্য। এতে করে ডলার সংকট কিংবা পাচারের বিষয়টিও অস্পষ্ট থেকে যায়।

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours