- হঠাৎ আলোচনায় তালেব চেয়ারম্যান!
- প্রার্থী হতে এক পায়ে খাড়া গতবারের পাশা!
- স্বতন্ত্র প্রস্তুতি বিএনপি নেতা নাছিরের
- পর্যবেক্ষণে ছালামত উল্লাহ চৌধুরী
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নাজিরহাট পৌরসভার নির্বাচন। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই ঘোষণা করা হতে নির্বাচনের তফসিল, এমনটা জানাগেল নির্বাচন অফিস সূত্রে।
এদিকে ভোটের সময় ঘনিয়ে আসায় প্রার্থীতা নিয়ে আলোচনা চলছে পৌর এলাকার সর্বত্র। তবে কাউন্সিলর চাইতে মেয়র পদের আলোচনা কিছুটা বেশী। আলোচনায় প্রাধান্য পাচ্ছে কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি। দলটির স্থানীয় পর্যায়ের অন্তত ডজন খানেক নেতা দলীয় মনোনয়ন পেতে মাঠে তৎপর।
অন্যদিকে, নৌকা পাওয়ার দৌঁড়ে যাদের নাম বেশী আলোচিত হচ্ছে তাঁরা হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য একে জাহেদ চৌধুরী, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হোসেন শহীদ জাফর আলম, পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ আলী, আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট সাজ্জাদ হোসেন, আনোয়ার পাশা মেম্বার, আলী আজম ছাদেক, আনোয়ার হোসেন আজম পৌর যুবলীগের সভাপতি মোহাম্মদ হাসান অন্যতম।
এছাড়া সুয়াবিল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবু তালেব চৌধুরী নির্বাচনে লড়তে ভোটার স্থানান্তর করেছেন বলে জানা গেছে। হঠাৎ তাঁর এ ভোটার স্থানান্তর নিয়ে নানা কানাঘুষা চলছে।
পাশাপাশি ভোটের মাঠে আলোচনায থাকা আনোয়ার পাশা আবারো প্রার্থী হতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছেন।
এদিকে, বর্তমান সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে যাবে না, এমন সিদ্ধান্তের কারণে আসন্ন নাজিরহাট পৌর নির্বাচনেও দলীয় প্রার্থী দেবে না বিএনপি, তা অনেকটা নিশ্চিত বলা যায়। তবে স্থানীয় বিএনপির তিন নেতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ছালামত উল্লাহ চৌধুরী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নাছির উদ্দিন চৌধুরী এবং সুয়াবিল এলাকার শফি মেম্বারের যেকোন একজন স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করতে পারেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।
এ বিষয়ে ছালামত উল্লাহ ও শফির বক্তব্য পাওয়া না গেলেও নাছির উদ্দিন বলেন, নির্বাচনের ব্যপারে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিইনি। তবে তৃণমূলের কর্মীরা চাচ্ছে নেতৃত্ব হাতছাড়া না করতে। সেক্ষেত্রে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশে সৃষ্টি হলে ভোটে নামার ইঙ্গিত দিলেন নাজিরহাট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নাছির চৌধুরী।
+ There are no comments
Add yours